ট্যাক্টরের দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বার্লের ঝড়ে জিতল সিলেট

এই জয়ে নকআউট পর্বের আশা টিকিয়ে রাখল সিলেট স্ট্রাইকার্স

নিজের প্রথম আট বল থেকে কোনো রান করতে পারেননি হ্যারি ট্যাক্টর। এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। আর শেষ দিকে ঝড় তুলে দারুণ ফিনিশিং দেন রায়ান বার্ল। তাতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে অসাধারণ জয়ে নকআউট পর্বের আশা টিকিয়ে রাখল সিলেট স্ট্রাইকার্স।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫৩ রান করে খুলনা। জবাবে এক ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে সিলেট।

এই জয়ে নয় ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে রয়েছে সিলেট। সাত ম্যাচ ৮ পয়েন্ট খুলনার। তার রয়েছে চার নম্বর পজিশনে। সমান ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে রংপুর রাইডার্স।

ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন ১৮তম ওভার পর্যন্ত খেলেছেন ট্যাক্টর। শুরুতে দেখে খেললেও ধীরে ধীরে নিজের খোলস ভাঙেন। এরপর খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। ৫২ বলের ইনিংসটি সাজান ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায়। শেষ দিকে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে সুমন খানের বলে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে আউট হন এই ব্যাটার।

ট্যাক্টরের আউট হওয়ার পর রুদ্ররূপে আবির্ভাব হন রায়ান বার্ল। আগের ১১ বলে ৯ রান করা এই ব্যাটার এরপর ৫ বল খেলে করেন আরও ২৩ রান। রুবেল হোসেনের করা ১৯তম ওভারে ২৪ রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন এই জিম্বাবুইয়ান। শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৩২ রান করেন তিনি।

এদিন লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভালো সূচনা করতে পারেনি সিলেট। দলীয় ১৩ রানে ভাঙে তাদের ওপেনিং জুটি। ১৩ রানই আসে সামিত প্যাটেলের ব্যাট থেকে। দুটি ছক্কায় এ রান করার পর আরও একটি মারতে গিয়ে সীমানায় এভিন লুইসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ওপেনার। 

এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন হ্যারি ট্যাক্টর। ৫২ রানের জুটিও গড়েন এ দুই ব্যাটার। এ জুটি ভাঙেন মার্ক দেয়াল। এই স্পিনারের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে নাহিদুল ইসলামের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। ১৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এক বল পর দেয়ালের আরও একটি শর্ট বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে খালি হাতে ফেরেন জাকির হাসান। তাতে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে খুলনা।

৬ রানে তিন উইকেটে হারানো দলটির হাল ধরতে মাঠে নামেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ট্যাক্টরের সঙ্গে ৪২ রানের জুটিতে ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন। তিনিও আউট হন দেয়ালের বলে। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন অধিনায়ক। ১৯ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২৪ রান করেন তিনি। এরপর বাকি কাজ ট্যাক্টর ও বার্ল শেষ করলে দারুণ জয় পায় সিলেট।

এর আগে টস জিতে প্রথম ওভারেই টানা দুটি বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন এভিন লুইস। এরপর তৃতীয় ওভারে মারেন আরও একটি। কিন্তু সামিত প্যাটেলের করা সেই ওভারেই আরিফুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। ১০ বলে ১২ রান করেন তিনি।

এরপর উইকেটে নেমে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন আফিফ হোসেন। ১৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৪ রান করেন। তবে বেনি হাওয়েলের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন এই ব্যাটার। দ্রুত ফিরেন যান মাহমুদুল হাসান জয়ও।

৫৪ রানে তিন উইকেট হারানো দলটির হাল হাবিবুর রহমান সোহানের সঙ্গে ধরেন অধিনায়ক বিজয়। অবিচ্ছিন্ন ৯৯ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। দেখে শুনে ব্যাট করে এক প্রান্ত আগলে রাখেন বিজয়। রানের গতি বাড়ানোর কাজটা করেন সোহান। তবে শেষ দিকে আগ্রাসী হন দুই ব্যাটারই। শেষ তিন ওভারে ৫১ রান তুলে নেন তারা। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন বিজয়। ৫৮ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এই রান করেন অধিনায়ক। সোহানের ব্যাট থেকে আসে কার্যকরী ৪৩ রান। ৩টি করে চার ও ছক্কায় হার না মানা এই ইনিংস খেলেন এই তরুণ।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago