বাংলাদেশের ইতিহাস ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক

প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে আসার অভিজ্ঞতা দারুণ হলো অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেট দলের। মাঠে পারফরম্যান্সে তাদের জয় জয়কার। জিতে নিয়েছে সবগুলো ম্যাচ। মাঠের বাইরের সময়টাও তাদের জন্য ছিলো ভীষণ উপভোগ্য। বিদায় বেলায় বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধতার কথা জানান অজি অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। এই দেশের ইতিহাস জানতে পারাও উপভোগ করেছেন তিনি।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গত মাসে বাংলাদেশে আসে অস্ট্রেলিয়া। ৬টি ম্যাচই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা জিতেছে অনায়াসে। বৃহস্পতিবার শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের তারা হারায় ৭৭ রানে। মাঠের লড়াইয়ে বাংলাদেশ তেমন পরীক্ষা দিতে পারেনি অজিদের, সাড়া ফেলতে পারেনি পারফরম্যান্স দিয়ে।
বাংলাদেশ ভালো খেলতে না পারায় অজিদের জন্য অবশ্য সুবিধাই হয়েছে। ম্যাচ জিতেছে তেমন লড়াই ছাড়া। দুই দলের ক্রিকেটের শক্তির পার্থক্যও ধরে দিয়েছে বড় করে।
দুই দলের ঐতিহাসিক সিরিজের মাঝে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার জন্য সংস্কৃতি বিনিময়ের চেষ্টা ছিলো বিসিবির। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি স্থানীয় খাবারের সঙ্গে হিলিদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। হিলিয়ে ঢাকাই জামদানি শাড়িও উপহার দিয়েছেন তিনি।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন ক্রিকেটাররা। দুই দলের ক্রিকেটারদেরই ডেকে নিয়ে গল্প করেছেন দেশের সরকার প্রধান।
এসব অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়েছেন হিলি। চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আসার আগে আরও কিছু প্রশ্ন নিয়ে ফিরবেন তিনি, 'আমি বাংলাদেশের ইতিহাস জানাটা খুব উপভোগ করেছি, সম্ভবত এটা নিয়ে ওয়াকিবহাল ছিলাম না। গতকালও হাইকমিশনার কারো কারো সঙ্গে আলাপ হচ্ছি, খুবই ভাগ্যবান যে প্রধানমন্ত্রীর দেখা পেয়েছি, আকর্ষণীয় গল্প জেনেছি। এই দিক থেকে আমি শিক্ষিত হয়েছি এবং বছরের শেষ দিকে ফেরার সময় আরও কিছু প্রশ্ন নিয়ে আসব।'
'এখানে আমরা যে আতিথেয়তা পেয়েছে তা ছিল অসাধারণ। মাঠে ও হোটেলে আমাদের যথেষ্ট খাতির করা হয়েছে। প্রতিদিন আমরা কিছু না কিছু আবিষ্কার করতে পেরেছি যা আমাদের সময়টাকে নীরস করেনি। প্রতি সকালে হোটেল থেকে আমরা দারুণ অভ্যর্থনা পেতাম। এখানে আসতে পেরে ভাগ্যবান ও খুশি। আমাদের খুব খাতির যত্ন করা হয়েছে। ধন্যবাদ।'
Comments