তিন সেঞ্চুরির ম্যাচে জিতল মোহামেডান

প্রায় দেড় যুগ হতে চলেছে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিততে পারেনি মোহামেডান। শেষ দুই বছর তো খেলতে পারেনি সুপার লিগেও। তবে আবারও সুপার লিগে ফিরে সূচনাটা দারুণ করেছে দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দলটি। শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে হারিয়েছে তারা। দিনের অপর ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।
সোমবার ফতুল্লাহর খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আর সাভারের বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১৩ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুর।
ফতুল্লাহতে এদিন সেঞ্চুরি হয়েছে তিনটি। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার সাইফ হাসান ও তাইবুর রহমানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৯ রানের পুঁজি পায় শেখ জামাল। তবে রানের গতি তেমন বাড়াতে পারেননি তারা। ১৪৬ বলে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ১২০ রান করেন সাইফ। আর ১১৪ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০২ রান করেন তাইবুর।
জবাবে মাহমুদুল হাসান অংকনের সেঞ্চুরি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে ২ বল বাকি থাকতেই জয় পায় মোহামেডান। ১২২ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ১০১ রানের ইনিংস খেলেন অংকন। মাহমুদউল্লাহ খেলেন হাড় না মানা ৮৭ রানের ইনিংস। ৮৮ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় এই রান করেন তিনি। রনি তালুকদার ৪১ রান করেন।
অপর ম্যাচে সাভারে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শাইনপুকুর। ফলে ৩৪.৫ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন তানজিদ হাসান। ৫১ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ২৬ বলে ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৩ রান করেন রিশাদ হোসেন। তারা ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন কেবল মুকিদুল ইসলাম (১৩)। গাজী গ্রুপের গাফ্ফার সাকলাইন ও হুসনা হাবিব নেন ৩টি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তিন স্পিনার রিশাদ, আরাফাত সানি ও হাসান মুরাদের ঘূর্ণিতে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় গাজী গ্রুপ। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন হাবিবুর রহমান সোহান। ৩১ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান রিশাদ। ৩টি উইকেট নেন আরাফাত সানি। দুটি শিকার মুরাদের।
Comments