দলীয় প্রচেষ্টায় মিলেছে ঐতিহাসিক জয়, বললেন লিটন
লিটন দাস যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ২৬ রানেই সাজঘরে শীর্ষ ছয় ব্যাটার। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ও পরে হাসান মাহমুদকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করে পাকিস্তানকে বড় লিড নিতে দেননি তিনি। তাতে মনোবল ফিরে পায় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত আসে দারুণ এক জয়। মিলে পাকিস্তানের মাঠে তাদের হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ।
খাঁদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলে এমন দারুণ ইনিংস খেলার জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার স্বাভাবিকভাবেই মিলেছে লিটনের। কিন্তু এই জয়ের কৃতিত্ব সবাইকেই দিচ্ছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ম্যাচ শেষে বলেছেন, 'এই জয় দলীয় প্রচেষ্টার ফলাফল। (কৃতিত্ব) সকলের এবং কোচিং স্টাফদেরও ক্রেডিট রয়েছে। টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং ভালো করতে হয়।'
এরপর নিজের কথার ব্যাখ্যাও দেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার, 'প্রথম টেস্টে আপনি দেখেছেন জাকির যে ক্যাচটি নিয়েছিল এবং আমি বাবরের যে ক্যাচ নিয়েছিলাম। তখন থেকেই আমরা মোমেন্টাম পেয়ে যাই। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমার্ধ ছাড়া আমাদের প্রত্যেক ব্যাটসম্যান সত্যিই ভালো ব্যাট করেছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবই ভালো হয়েছে। আমরা যখন এখানে এসেছিলাম তখন দশে সবকিছু ঠিক ছিল না। এখানে আমরা কঠোর অনুশীলন করেছি।'
তবে প্রথম ইনিংসে মিরাজের সঙ্গে লিটনের ইতিহাস গড়া জুটি না গড়তে পারলে হয়তো ফলাফল ভিন্নও হতে পারতো। সেই জুটির জন্য মিরাজকেই বেশি কৃতিত্ব দিচ্ছেন লিটন, 'আমি আর মিরাজ যখন ব্যাটিং করছিলাম, আসলে কৃতিত্বটা মিরাজের। প্রথমে যেভাবে ও কয়েকটি বল মোকাবেলা করেছে। আমি (কনুইতে) আঘাত পেয়েছিলাম ফলে এতটা মারতে পারিনি। তাই মিরাজ যখন ব্যাটিং করছিল, ও ৫ কি ৬টা বাউন্ডারি মেরেছিল এবং এটি আমাদের জন্য কাজ সহজ করে দিয়েছিল।'
২৬ রানের মধ্যে বাংলাদেশের শীর্ষ ছয় উইকেট নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তখন উড়ছিলেন পাকিস্তানি পেসাররা। মিরাজকে নিয়ে তখন তাদের মোমেন্টাম নষ্ট করার বিষয়ে নজর ছিল বলে জানান লিটন, 'আমরা কেবল তাদের মোমেন্টামকে নষ্ট করার বিষয়ে কথা বলেছি। কারণ তাদের সেই সময়টা ভাল ছিল। বলছিলাম, দেখা যাক পরবর্তীতে কী হয়। আর মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর, আমরা নির্দ্বিধায় শুধু ব্যাট করতে পেরেছি।'
Comments