বিশ্বকাপের মাঝেই ফিট হবেন তাসকিন, বিশ্বাস বিসিবির

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজের মাঝে পুরনো চোটে নতুন করে আঘাত পান পেসার তাসকিন আহমেদ। ফলে বিশ্বকাপে তাকে পাওয়া নিয়ে জেগে ওঠে নানা শঙ্কা। তা সত্ত্বেও তাসকিনকে রেখেই বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শেষ মুহূর্তে তাকে বদল করার সুযোগ থাকলেও তা করেনি দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। কারণ বিশ্বকাপের মাঝেই তাকে পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করেন বিসিবির ফিজিও-চিকিৎসকরা।

বর্তমানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বাগতিক দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ দল। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে এরমধ্যেই সিরিজ খুইয়েছে টাইগাররা। চোটের কারণে এই সিরিজে খেলতে পারেননি তাসকিন। তার অভাবটা হাড়েহাড়েই টের পেয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে তাসকিনের আরও একটি এমআরই স্ক্যান করানো হয়েছে। সেখানকার রিপোর্ট সন্তোষজনক বলেই জানালেন বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, 'তাসকিনের খবর ফিজিও বায়েজিদ (ইসলাম) সাহেব জানিয়েছে ওর আরেকটা এমআরআই হয়েছেন। যে গতিতে ওর আরোগ্য চিন্তা করেছিলেন তার থেকে এগিয়েই আছে। ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।'

তবে আসরের শুরু থেকেই তাকে নাও পাওয়া যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন প্রধান নির্বাচক, 'আমরা আশাবাদী। ৩০-৩১ তারিখ আবার দেখে হালকাভাবে ১ তারিখ থেকে বোলিং অনুশীলন শুরু করবেন। এখন থেকে হয়ত ইনস্ট্রুমেন্টাল ও স্ট্রেন্থ ট্রেনারদের সাথে ট্রেনিং করবেন। আশা করা যায় ৫ তারিখের মধ্যে ফুল রানআপে বল করবেন। সম্ভাব্য… ঘটবেই তা বলতে পারছি না।'

এদিকে ২৫ মের মধ্যে বিশ্বকাপের দলে পরিবর্তন আনার সুযোগ রেখেছিল আইসিসি। তবে সে পথে হাঁটেনি বিসিবি। ঘোষিত দলেই আস্থান রেখেছেন তারা। লিপুর ভাষায়, 'প্রটোকল অনুযায়ী ক্যাপ্টেন, কোচ এবং আমরা নির্বাচকরা বসে কিছুক্ষণ আলাপ করেছিলাম। এ মুহূর্তে যে দল আছে, সে দলটাই বহাল রেখেছি। বিশ্বকাপে যাতে ভালো করতে পারি সেই আশা করছি। যে দল নির্বাচন করেছিলাম সেই দলের উপরই আস্থা রাখছি।'

বিশ্বকাপের ঠিক আগে দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হার নিয়ে বললেন, 'বিশ্বকাপের মিশন তো এখনও শুরুই হয়নি। একটা সিরিজ খেলছি। বিশ্বকাপের আলোকেই দল ঘোষণা করেছি। বিস্তর চিন্তাভাবনা করেই দল দিয়েছি। আকাঙ্ক্ষিত ফর্মে সবাই নেই এটা দুঃখজনক। কাঙ্ক্ষিত ফলাফলও করতে পারছি না। হতাশাজনকই বলব, দুটি ম্যাচেই জেতার মতো অবস্থায় ছিলাম।'

'প্রথম ম্যাচে বোলিংয়ের কারণে পিছিয়ে গেছি। শেষদিকে ওভারপ্রতি ১৫ রান করে লাগত। অন্যতম সেরা বোলাররা ছিল। টি-টোয়েন্টির টুইস্টে আমরা পারিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও ২ উইকেট হারিয়ে এমন অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। শান্ত ও হৃদয় ব্যাট করছিল, জয়কে মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ৩ বল বাকি থাকতেই পরাজয়। নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তার কারণ, হতাশার কারণ,' যোগ করেন লিপু।

Comments

The Daily Star  | English

PSC announces major changes to ease BCS recruitment process

The PSC chairman says they want to complete the entire process — from prelims to recruitment — in 12 months

3h ago