কানাডাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু যুক্তরাষ্ট্রের

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। এ দুই দলের ম্যাচ দিয়েই শুরু হয় এবারের আসর। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আসল মজা উপহার দিয়ে চার ছক্কার ফুলঝুরি ছোটায় দলদুটি। শেষ পর্যন্ত কানাডাকে সহজেই হারিয়ে আসর শুরু করেছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।

রোববার ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান করে কানাডা। জবাবে ১৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে স্বাগতিকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের সহজ জয় এনে দেওয়ার মূল কারিগর আন্দ্রেয়াস গাউস ও অ্যারন জোন্স। দলীয় ৪২ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর এ দুই ব্যাটারের ১৩১ রানের জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর গাউস আউট হলেও জয় তুলে নিতে কোনো বেগ পেতে হয়নি দলটিকে।

তবে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে শুরুটা ভালোই করেছিল কানাডা। খালি হাতেই ওপেনার স্টিভ টেইলরকে বিদায় করেছিল তারা। কলিম সানার বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন টেইলর। এরপর অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলকে ফিরিয়ে দেন দলীয় ১৬ রানে। তাকে উইকেটরক্ষক মোভার ক্যাচে পরিণত করেন ডিলন হেইলিগার।

ব্যাট হাতে এদিন শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছিলেন জোন্স। মাত্র ৪০ বলে ৯৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি। মারেন ১০টি ছক্কা। একই চারটি চারের মারও ছিল তার ইনিংসে। মাত্র ২২ বলে ফিফটি তুলে মার্কিনিদের পক্ষে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন এই ব্যাটার।

দারুণ সঙ্গ দেন গাউস। ৪৬ বলে ৬৫ রান করেন তিনি। নিজের ইনিংসটি সাজাতে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন এই ব্যাটার। যদিও ফিফটির পরপরই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তা লুফেও নিয়েছিলেন কানাডার ফিল্ডার। তবে পরে দেখা যায় নো-বল ছিল সেটি। অবশ্য এক ওভার পর নিখিল দত্তের বলে জনসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।

টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের। তিন ওভারেই ৩৪ রান খরচ করে তারা। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে হারমিত সিংয়ের বলে সোজা লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন অ্যারন জনসন। ১৬ বলে ৫ চারে ২৩ রান করে বিদায় নেন তিনি। আরেক ওপেনার নাভনিত ধালিওয়াল শুরুতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে এগিয়ে যান তিনি।

পরগত সিং রানআউট হয়ে যান ৫ রানে। তবে চারে নামা নিকোলাস কার্টনের সঙ্গে জুটি গড়ে কানাডাকে ভালো ভিত্তি এনে দেন ধালিওয়াল। ৩৬ বলে ফিফটি হাঁকানো এই ডানহাতি ব্যাটার অবশ্য এরপর ইনিংস বড় করতে পারেননি। বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে করা প্রথম বলেই উইকেট পেয়ে যান কোরি অ্যান্ডারসন। ৪৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬১ রানে যখন থেমে যায় ধালিওয়ালের ইনিংস।

২৮ বলে টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ফিফটি পেয়ে যান বাঁহাতি কার্টন। আলি খানের বলে আউট হয়ে ৩১ বলে ৫১ রানে আউট হলে বড় হয়নি তার ইনিংস। নিজের ইনিংসে মারেন ৩ চার ও ২ ছক্কা। পাঁচে নামা শ্রেয়াস মোভার ঝড়ো ইনিংসে ভালো সংগ্রহ গড়তে পারে কানাডিয়ানরা। ১৬ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেনে মোভা।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

6h ago