রনির বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে কুমিল্লাকে হারাল রংপুর

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকেন রনি তালুকদার। দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েই দলকে এনে দিলেন বড় পুঁজি। এরপর বাকি কাজ সারেন বোলাররা। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের বিপক্ষে দারুণ জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে রংপুর রাইডার্স।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকেন রনি তালুকদার। দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েই দলকে এনে দিলেন বড় পুঁজি। এরপর বাকি কাজ সারেন বোলাররা। তাতে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের বিপক্ষে দারুণ জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে রংপুর রাইডার্স।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লাকে ৩৪ রানে হারিয়েছে রংপুর। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৬ রান করে তারা। জবাবে ৫ বল বাকি থাকতে ১৪২ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর।

রংপুরের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লার ওপেনিং জুটি ভাঙে দলীয় ২৫ রানে। রাকিবুল হাসানের বলে পেছনে দিকে সরে কাট করতে চেয়েছিলেন লিটন দাস। তবে ব্যাটে বলে ঠিকভাবে সংযোগ না হলে সহজ ক্যাচ চলে যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো হাসান মাহমুদের হাতে।

এরপর উইকেটে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেছিলেন ইংলিশ ব্যাটার ডেভিড মালান। কিন্তু খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সিকান্দার রাজার বলে শর্ট থার্ডম্যানে আজমতুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। স্কোরবোর্ডে ৬ রান যোগ হওয়ার পর আরেক ওপেনার সৈকত আলীকে বোল্ড করে দেন রাজা।

দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক ইমরুল কায়েস নেমে চেষ্টা চালিয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৫৮ রানের জুটি। ২৩ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ রানের ইনিংস খেলে আজমতুল্লাহর বলে বেনি হাওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে থামে ৩৪ রান দূরে।

কুমিল্লার পক্ষে ২০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ২টি করে উইকেট পান রবিউল হক ও সিকান্দার রাজা।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার রনি ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় রংপুর। ৮৪ রানের ওপেনিং জুটি উপহার দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রনি। বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে খুশদিল শাহর বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন এ ওপেনার। ৩১ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় খেলেন ৬৭ রানের ইনিংস।

এরপর শোয়েব মালিকের সঙ্গে ৩১ রানের আরও একটি জুটি গড়েন আউট হন নাঈম। ফজলহক ফারুকির বলে মোসাদ্দেক হোসেনের ক্যাচ দেওয়ার আগে খেলেন ২৯ রানের ইনিংস। ৩৪ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ২৯ রান করেন এ ওপেনার। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি।

মালিকের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। ২৬ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ১টি করে চার ও ছক্কায় ১৯ রানের ইনিংস খেলেন। কুমিল্লার পক্ষে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন ফারুকি, খুশদিল, মোস্তাফিজ ও মোসাদ্দেক।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago