'পাঁচটি ফাইনাল' শেষে আসল ফাইনাল জিততে আশাবাদী মেসি

ছবি: এএফপি

অন্যতম ফেভারিট হিসেবে কাতারে গিয়ে বিশ্বকাপের শুরুতেই মহাবিপাকে পড়েছিল আর্জেন্টিনা। রীতিমতো দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল তাদের। সেই খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা পৌঁছে গেছে ফাইনালে। নজরকাড়া সব পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এতে দলটির অধিনায়ক লিওনেল মেসি স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ খুশি। বাঁচা-মরার কঠিন পথ পেরিয়ে তার চোখ এখন আসরের ফাইনালে।

মঙ্গলবার রাতে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা পাত্তা দেয়নি ক্রোয়েশিয়াকে। লুসাইল স্টেডিয়ামে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতে তারা জায়গা করে নিয়েছে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে। চোখ ধাঁধানো ছন্দে থাকা মেসি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর জোড়া গোল করেন হুলিয়ান আলভারেজ। একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে আগামী রোববার বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স বা মরক্কোকে মোকাবিলা করবে আলবিসেলেস্তেরা।

অথচ সৌদি আরবের কাছে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই হারায় আর্জেন্টিনার ফাইনালে ওঠার পক্ষে বাজি ধরার লোক ছিল কমই। হতাশাজনক ওই ফলের পর প্রতিটি ম্যাচই তাদের জন্য হয়ে পড়ে নকআউট। কঠিন সেই চ্যালেঞ্জ এখন পর্যন্ত দারুণভাবে সামলেছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। একে একে টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতে তারা শিরোপা ঘরে তোলার খুব কাছে। আর মাত্র একটি ধাপ পেরোতে পারলেই মরুর বুকে বাজবে আর্জেন্টিনার জয়গান, মেসির জয়গান।

ক্রোয়াটদের বিপক্ষে জয়ের পর গণমাধ্যমকে মেসি বলেছেন, সৌদির বিপক্ষে ওই ধাক্কা সামলে নিজেদের শক্তিমত্তা দেখাতে পেরেছেন তারা, 'আমি বলব যে প্রথম ম্যাচটা আমাদের জন্য কঠিন একটি ধাক্কা ছিল। কারণ আমরা টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত ছিলাম। ওভাবে শুরু করাটা বিরাট ধাক্কা ছিল। আমরা ভাবিনি যে সৌদি আরবের কাছে হেরে যাব। এরপর আমাদের জন্য ছিল অগ্নিপরীক্ষা। তবে আমরা দেখিয়েছি যে আমরা কতটা শক্তিশালী।'

কাতারের মাটিতে ছয় ম্যাচ খেলে পাঁচ গোল ও তিন অ্যাসিস্ট করেছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা মেসি। নিজের অধরা বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। তার দৃষ্টিতে, আর্জেন্টিনার জন্য গত পাঁচটি ম্যাচই ছিল ফাইনালের মতো, 'আমরা যা করেছি, সেটা খুবই কঠিন। কারণ প্রতিটি ম্যাচই ছিল ফাইনাল এবং এই ব্যাপারটা মানসিক চাপ নিয়ে আসে। আমরা অবগত ছিলাম যে যদি জিততে না পারি, তাহলে সবকিছু আরও জটিল হয়ে যাবে।'

মূল মঞ্চে জয়ের আশাবাদ জানিয়েছেন মেসি, 'আমরা পাঁচটি ফাইনাল খেলেছি এবং সৌভাগ্যবশত সেগুলো জিততে পেরেছি। আমি আশা করি, (আসল) ফাইনালেও এমন কিছু হবে। ভেতরে ভেতরে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কারণ আমরা জানি যে আমরা কী করতে সক্ষম। আমরা প্রথম ম্যাচটা হেরেছিলাম কিছু সূক্ষ্ম ভুলের কারণে। কিন্তু সেটা আমাদের শক্তি শালী করতে এবং এই আসরে ও একটি স্কোয়াড হিসেবে উন্নতি করতে সাহায্য করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Mob violence now alarmingly routine

Rights groups say the state's failure to act swiftly and decisively has to some extent emboldened mobs and contributed to a climate where vigilante justice is becoming commonplace.

8h ago