ঘুরে দাঁড়ানোর তাড়না নিয়ে চেন্নাইতে বাংলাদেশ দল

ধর্মশালায় মনোরম হাওয়ায় বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞতা অম্ল-মধুর। আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে উড়ন্ত শুরুর পরই ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারের ধাক্কা। বিপরীতমুখী দুই অভিজ্ঞতা সঙ্গী করে উত্তর ভারতের পাহাড়ি জনপদ থেকে দক্ষিণ ভারতের সমুদ্রের কিনারে এলেন সাকিব আল হাসানরা।
বুধবার ভাড়া করা বিমানে সরাসরি আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরের চেন্নাই পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। আগের রাতে ইংল্যান্ডের বিশাল রানের নিচে চাপা পড়লেও বিশ্বকাপে দারুণ কিছুর স্বপ্ন চাপা দেয়নি।
এখনো বড় কিছুর আশা নিয়েই ক্রিকেটাররা এসেছেন নিউজিল্যান্ডকে সামলাতে। বিমানবন্দরে লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজরা ফুরফুরে থাকার চেষ্টা করেছেন। বাইরের সমালোচনায় কান না দিতে নির্দেশনা আছে টিম ম্যানেজমেন্টের। দলের পারফরম্যান্স যেমনই উঠা নামায় থাকুক, স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের উপর যে ম্যানেজমেন্টের আস্থা আছে সেটা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আগামী শুক্রবার চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের বাইশগজে বড় পরীক্ষা। চেন্নাইর মাঠ বলেই ক্রিকেটাররাও স্বপ্নটা দেখছেন। ঐতিহ্য অনুযায়ী ভারতের সবচেয়ে স্পিন বান্ধব উইকেট চেন্নাইতে। মিরপুরের সঙ্গে এই ভেন্যুর কিছুটা মিল আছে। প্রতিপক্ষে দারুণ ছন্দে থাকা নিউজিল্যান্ড হলেও কন্ডিশনের চেনা আবহ দলকে দিচ্ছে সাহস।
ধর্মশালায় দুই ম্যাচেই পেসারদের বোলিং ছিল হতাশাজনক। চেন্নাইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে পেস আক্রমণে বদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে চিপকের মাঠ বলেই অন্তত তিন স্পিনার একাদশে রাখবে বাংলাদেশ।
Comments