অভিজ্ঞ ম্যাথিউজকে পেয়ে অনুপ্রাণিত শ্রীলঙ্কা

মাঠে নামার আগে ইংল্যান্ডের মতো সমান তিনটি ম্যাচ হেরেছিল শ্রীলঙ্কাও। তবে শক্তির বিচারে ঢের এগিয়েছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচে পরিষ্কার ফেভারিট ছিল ইংলিশরা। কিন্তু উল্টো একতরফা রাজত্ব করে বিশাল জয় তুলে নিয়েছে লঙ্কানরাই। দলের এমন পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি পেসার লাহিরু কুমারা। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজকে পেয়ে যে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তা স্বীকার করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের ছোট বাউন্ডারির মাঠে ইংলিশদের মাত্র ১৫৬ রানে আটকে দেয় শ্রীলঙ্কা। অথচ উইকেট ছিল ব্যাটিং স্বর্গ। মাঝারী লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে দুটি উইকেট হারালেও পাথুম নিসাঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমার ফিফটিতে সহজ জয়ই তুলে নেয় দলটি। তাতে সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন এখনও টিকে আছে লঙ্কানদের।
চলতি বিশ্বকাপে আগের দিন প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ পান ৩৫ বছর বয়সী শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক ম্যাথিউজ। অথচ এই বিশ্বকাপে খেলারই কথা ছিল না তার। মাথিশা পাথিরানার চোটে সুযোগ পেয়ে যান তিনি। আর সুযোগ পেয়েই করলেন বাজিমাত। দলের জয়ে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা। ১৪ রানের খরচায় পেয়েছেন ডাভিড মালান ও মঈন আলীর উইকেট।
ম্যাচ শেষে এই অভিজ্ঞ তারকার অবদান অকপটে স্বীকার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া লাহিরু কুমারা বলেন, 'দলে অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজকে ফিরে পাওয়াটা বিরাট একটা বিষয়। আমাদের সকলের কাছে অ্যাঞ্জেলো অনুপ্রেরণার। আমাকে সে অনেক সাপোর্টও করেছে। গোটা ম্যাচে আমাকে কীভাবে বল করতে হবে তা নিয়ে কথা বলেছে। নানা উপদেশ দিয়েছে।'
এরপর নিজেদের পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন ৩৫ রানের খরচায় ৩ উইকেট নেওয়া এই পেসার, 'আমার এই ম্যাচে উদ্দেশ্য ছিল যতটা সম্ভব ব্যাটারদের উইকেটকে আক্রমণ করা। মিডল ওভারে শৃঙ্খলা রেখে বল করা। আর এটা করতে পারার ফলেই ম্যাচে আমরা নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট তুলে নিতে পেরেছি।'
সবমিলিয়ে ইংলিশদের বিপক্ষে এমন জয়ে দারুণ খুশি কুমারা, 'ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এই ধরণের পারফরম্যান্স করতে পেরে খুব খুশি। গত ম্যাচের (নেদারল্যান্ডস) পরে আমার বোলিংয়ে বেশি পরিবর্তন করিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা আমার কাছে বল হাতে একটা খারাপ দিন ছিল। আমি নিজের বোলিং নিয়ে কঠোর অনুশীলন করেছি। নেটে নিয়মিত অনুশীলন করেছি। যার ফল পেয়েছি।'
Comments