লঙ্কানদের সাধ্যের মধ্যেই আটকে রেখেছে আফগানরা

পাথুম নিসাঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গে জুটি গড়ে ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। তারা যখন ব্যাটিং করছিলেন তখন মনে হয়েছিল বড় পুঁজির দিকেই যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। তবে সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তারা। তাতে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে আফগানিস্তান। এরপর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লঙ্কানদের পুঁজিটা সাধ্যের মধ্যেই রাখতে পেরেছে দলটি।
সোমবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে ৩ বল বাকি থাকতেই ২৪১ রানে গুটিয়ে দিয়েছে আফগানরা। অর্থাৎ জিততে হলে ২৪২ রান করতে হবে তাদের।
এদিন টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান। দলীয় ২২ রানেই সফলতা পায় দলটি। ওপেনার কুশল পেরেরাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ফজল হক ফারুকি। এরপর অবশ্য আরেক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কাকে নিয়ে ভালো লড়াই করেছিলেন কুশল মেন্ডিস। দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার।
নিসাঙ্কাকে উইকেটরক্ষক রহমানুউল্লাহ গুরবাজের ক্যাচে পরিণত করে এ জুটি ভাঙেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। এরপর সামারাবিক্রমার সঙ্গে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন মেন্ডিস। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তবে এ জুটি ভাঙতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি।
২৮তম ওভারে এসে বল হাতে নিয়ে মেন্ডিসকে অতিরিক্ত ফিল্ডার নজিবুল্লাহ জাদরানের ক্যাচে পরিণত করেন মুজিব উর রহমান। পরের ওভারে এসে সামারাবিক্রমাকে ফেলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। তাতে বড় চাপে পড়ে যায় লঙ্কানরা। সে চাপ থেকে আর উতরে উঠতে পারেনি দলটি।
এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। রশিদ খানের গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান তিনি। পারেননি চারিথ আসালাঙ্কাও। তবে শেষ দিকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটিতে লঙ্কানদের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন মহেশ থিকসানা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন নিসাঙ্কা। ৬০ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৫০ বলে ৩৯ রান করেন মেন্ডিস। সামারাবিক্রমার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। শেষদিকে থিকসানা ২৯ ও ম্যাথিউজ ২৩ রান করেন। আফগানদের পক্ষে ৩৪ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান ফারুকি। ২টি শিকার মুজিবের।
Comments