আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

ইডেনে বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুই দলের সমর্থকই থাকতে পারেন সমান-সমান

শাহিন শাহ আফ্রিদি তখন অনুশীলন সেরে ড্রেসিংরুমের দিকে ফিরছিলেন। গ্যালারিতে থাকা শ’খানেক মানুষ তাকে দেখেই দিলেন ডাক, ‘শাহিন ভাই, শাহিন ভাই’। শাহিন সাড়া দিয়ে এগিয়ে গিয়ে মেটালেন ছবি তোলার আবদার।

কলকাতা থেকে

ইডেনে বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুই দলের সমর্থকই থাকতে পারেন সমান-সমান

শাহিন শাহ আফ্রিদি তখন অনুশীলন সেরে ড্রেসিংরুমের দিকে ফিরছিলেন। গ্যালারিতে থাকা শ’খানেক মানুষ তাকে দেখেই দিলেন ডাক, ‘শাহিন ভাই, শাহিন ভাই’। শাহিন সাড়া দিয়ে এগিয়ে গিয়ে মেটালেন ছবি তোলার আবদার।
shaheen afridi

শাহিন শাহ আফ্রিদি তখন অনুশীলন সেরে ড্রেসিংরুমের দিকে ফিরছিলেন। গ্যালারিতে থাকা শ'খানেক মানুষ তাকে দেখেই দিলেন ডাক, 'শাহিন ভাই, শাহিন ভাই'। শাহিন সাড়া দিয়ে এগিয়ে গিয়ে মেটালেন ছবি তোলার আবদার। এভাবে ফখর জামান, উসামা মির, মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজমকে ডেকে কাছে পেল তারা। রিজওয়ান তার ব্যাটটাও সবাইকে স্পর্শ করতে দিলেন।

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সোমবার পাকিস্তান দলের অনুশীলন দেখতেই উপস্থিত ছিলেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ। আলাপে জানা গেল তারা সবাই পাকিস্তানের সমর্থক। না, পাকিস্তান থেকে কেউ আসেননি। পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের নৈকট্য মূলত উর্দুভাষা কেন্দ্রিক।

কলকাতায় উর্দুভাষী মানুষের সংখ্যা অনেক। ইডেনের আশপাশের কিছু এলাকায় বাঙালির চেয়ে উর্দুভাষী মানুষের বাস বেশি। তাদের কারো শেকড় বিহার, কেউ উত্তর প্রদেশের, কারো শেকড় আবার পকিস্তানেই। নানান রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কারণে পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রতি তাদের অনুরাগ।

রাশিদ নামের ২৩ বছরের এক তরুণ ছোট ভাগ্না, ভাগ্নিদের নিয়ে ইডেনে সোমবার গ্যালারিতে ঢুকেছেন। ইডেনের পরিচিত এক নিরাপত্তাকর্মীর সহায়তায় সাধারণ দর্শক হয়েও অনুশীলনের দিন জায়গা পেয়েছেন গ্যালারিতে। মেটিয়া বরুজ এলাকা থেকে আসা এই তরুণ আলাপে জানালেন, পাকিস্তানের খেলা দেখতে তাদের পরিবারের প্রায় সবাই থাকবেন গ্যালারিতে।

কলকাতায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আগের ম্যাচে বাংলাদেশের সমর্থক ছিল একচেটিয়া। লাল-সবুজ জার্সি আর পতাকায় গ্যালারি ছিল ভরপুর। ডাচদের বিপক্ষে বড় হারে বাংলাদেশের এসব সমর্থক হয়েছেন হতাশ। অনেকের পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের টিকেট থাকলেও সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছেন। কেউ কেউ ফিরে গেছেন দেশে, কেউ ভারতে অন্য কোথাও ঘুরতে বেড়িয়েছেন। তবু বাংলাদেশের কয়েক হাজার সমর্থক খেলা দেখতে গ্যালারিতে থাকবেন। কোন দলের সমর্থক বেশি থাকে তা এখন দেখার বিষয়। তবে গ্যালারির বেশিরভাগ আসনই যে ফাঁকা থাকবে তা নিশ্চিত। 

বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের আগের দিন টিকেট কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায় এখনো বিক্রির বাকি অনেক টিকেট। কেউ কেউ আগে থেকে টিকেট কিনে বেশি দামে বিক্রির আশা করেছিলেন, তারা এখন কেনা দামের চেয়েও কম দামে বিক্রি করতে আগ্রহী।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুই দলই বাজে পারফর্ম করায় এই ম্যাচ হারিয়েছে উত্তেজনা, মানুষের আগ্রহও তাও চলে গেছে। কলকাতার স্থানীয় বাঙালিদের মধ্যে বড়জোর এক শতাংশ এই ম্যাচ দেখতে চান। বাকি সবাইকে দেখা গেল ৫ নভেম্বর ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের টিকেটের খোঁজ করছেন। সেই ম্যাচের টিকেট এখন সোনার হরিণ।

Comments