আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

কোচের পদে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তার সুর দ্রাবিড়ের কণ্ঠে

ভারত বিশ্বকাপ জিতলে হতো একরকম, না জেতায় পরিস্থিতি হয়েছে আরেকরকম। কোচ হিসেবে তাই রাহুল দ্রাবিড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

কোচের পদে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তার সুর দ্রাবিড়ের কণ্ঠে

কোচের পদে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তার সুর দ্রাবিড়ের কণ্ঠে

ভারত বিশ্বকাপ জিতলে হতো একরকম, না জেতায় পরিস্থিতি হয়েছে আরেকরকম। কোচ হিসেবে তাই রাহুল দ্রাবিড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দ্রাবিড় সেই প্রশ্নের জবাব অবশ্য দিলেন না, রেখে দিলেন অনিশ্চয়তা।

রোববার আহমেদাবাদে দুরন্ত ছন্দে থাকা ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ৬ষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। দ্রাবিড়ের আক্ষেপও তাতে হলো দীর্ঘ। খেলোয়াড় হিসেবে ২০০৩ ও ২০০৭ সালে বিশ্বকাপ জিততে পারেননি তিনি। ২০০৩ সালে ফাইনাল আর ২০০৭ সালে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়।

বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ কোচ হিসেবে পূরণ হওয়ার আশা এবার ছিল সবচেয়ে বেশি। দলকে গুছিয়ে তৈরি করেন দারুণ আবহ। টানা ১০ ম্যাচ খেলে ফাইনালে পা রাখে ভারত। বাজির ধর তাদের পক্ষেই ছিলো চড়া। কিন্তু শেষটাই আর হলো না, আসল মঞ্চে খেই হারালো তার দল।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠে কোচ হিসেবে আর তিনি থাকছেন তো? ২০২৭ বিশ্বকাপ নিয়ে কোন পরিকল্পনা আছে কিনা। উত্তরে দ্রাবিড়ের কণ্ঠে পাওয়া যায় অনিশ্চয়তার সুর, 'আমার পুরো মনোযোগ ছিল এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে। কেবল শেষ হল। মাত্রই মাঠ থেকে এলাম। এখনো ভাবার সময় পাইনি। ২০২৭ তো বহু দূরের ব্যাপার। অনেক জল গড়িয়ে যাবে এরমধ্যে। ভবিষ্যতে কী করব সেটা এখনই জানি না।'

দায়িত্বে না থাকলে হয়ত এটাই কোচ হিসেবে তার শেষ ম্যাচ হয়ে যেতে পারে। ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক তাই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দলকে,

'এই দলের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। ক্রিকেটার থেকে সাপোর্ট স্টাফ সবাই নিজেদের উজাড় করে দিয়েছ। সবার সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভালো লেগেছে।'

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার আগ্রাসী শুরুর পরও খেই হারায় ভারত। মাঝের ওভারের শ্লথ গতি আর শেষ দিকে ঝড় তুলতে না পারায় পুঁজি হয় স্রেফ ২৪০ রানের। দ্রাবিড়ের মতে শিশির ভেজা মাঠে অন্তত ৩০-৪০ রানের ঘাটতি থেকে গিয়েছিলো,  'আমরা ৩০-৪০ রান কম করেছি। ২৮০-২৯০ রান করতে পারলে লড়াই হতো। অস্ট্রেলিয়া খুব ভাল বল করেছে। আমাদের বাউন্ডারি মারতে দেয়নি। রোহিত আউট হওয়ার পর বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুল ইনিংস গড়ার চেষ্টা করছিল। আমরা খুবই ভয়হীন ক্রিকেট খেলেছি এ বারের বিশ্বকাপে। বিরাট-রাহুলের ওই ইনিংসটাই খেলা প্রয়োজন ছিল। আমাদের দুর্ভাগ্য যে বিরাট-রাহুল আউট হয়ে যায়। ট্রেভিস হেড এবং মার্নাস লাবুশেনের মতো শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে আমরাও বড় রান তুলতে পারতাম।'

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

4h ago