আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

স্বপ্নের মতো লাগছে কোহলির

স্বপ্নের নায়ক শচীন টেন্ডুলকারের একের পর এক রেকর্ড ভেঙে নিজের করে নিচ্ছেন বিরাট কোহলি

স্বপ্নের মতো লাগছে কোহলির

ক্রিকেটে যখন হাতেখড়ি শুরু তখন থেকেই বিরাট কোহলির স্বপ্নের নায়ক শচীন টেন্ডুলকার। ড্রেসিং রুমে যেদিন প্রথম পা রেখেছিলেন সেদিন এই নায়কের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিয়েছিলেন। আর সেই আশীর্বাদ পুষ্ট কোহলি স্বপ্নের নায়কের একের পর এক রেকর্ড ভেঙে নিজের করে নিচ্ছেন। অভিবাদন পাচ্ছেন নায়কেরও। এ সবকিছুই কেমন যেন স্বপ্নের মতো লাগছে ভারতের কোহলির।

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বুধবার বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। যা তার ক্যারিয়ারের ৫০তম সেঞ্চুরি। তাতে পেছনে ফেলে দিয়েছেন শচীনের করা ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ডকে। গ্যালারিতে তখন করতালি দিচ্ছিলেন শচীন। আবেগে ভাসছিলেন স্ত্রী অনুশকা শর্মা। গ্যালারি থেকেই কোহলির উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেন ভালোবাসার চুম্বন।

যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন, আর যাকে ছোট থেকে নায়ক হিসেবে দেখেছেন, তাদের সামনে এমন কীর্তি গড়ার পর নিজেকে ধরে রাখা কিছুটা কঠিনই কোহলির জন্য। তবুও নিজেকে সামলে বললেন, 'আনুশকা সেখানে বসে আছে, শচীন পাজিও এখানে আছেন। এটা ব্যাখ্যা করা কঠিন। আমি যদি একটি নিখুঁত ছবি আঁকতে পারি তবে এটিই হতো।'

'আমার জীবনসঙ্গী, আমি যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি সে সেখানে বসে আছে, আমার নায়ক সেখানে বসে আছে এবং আমি তাদের সবার সামনে ৫০ তম (ওয়ানডে সেঞ্চুরি) পেতে সক্ষম হয়েছি এবং এই সবগুলোও ওয়াংখেড়েতে হয়েছে, এমন একটি ঐতিহাসিক ভেন্যুতে। এটা আশ্চর্যজনক,' যোগ করেন কোহলি।

এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই শচীনের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলার সামনে ছিলেন কোহলি। কিন্তু সেদিন অল্পের জন্য হয়েও হয়নি। সেই রেকর্ড ছুঁয়েছেন ইডেন গার্ডেন্সে। তবে ভাগ্যদেবী তার জন্য আরও ভালো কিছু রেখেছিলেন। এই ওয়াংখেড়েতে ফিরে এবার ভেঙে দিলেন শচীনের রেকর্ড। তাও আবার স্বয়ং শচীনের উপস্থিতিতেই।

নিজে যেন পরাবাস্তব জগতে বাস করছেন বলে মনে করেন কোহলি, 'আমি কলকাতাতেই বলেছিলাম, মহামানব (শচীন টেন্ডুলকার) আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই সব একটি স্বপ্ন মত মনে হয়। সত্য বলতে খুবই ভালো। আমার তো পরাবাস্তব মনে হয়।'

'আজ আবার একটি বড় ম্যাচ, পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আমি যে ভূমিকাটি খেলেছি তা পালন করতে হয়েছিল যাতে আমার চারপাশের ছেলেরা নিজেদের প্রকাশ করতে পারে। সবকিছু এত সুন্দরভাবে একত্রিত হওয়ায় আনন্দিত এবং আমরা স্কোরবোর্ডে দারুণ পুঁজি স্থাপন করতে পেরেছি,' যোগ করেন এই ব্যাটার। 

নিজের কাজটা সঠিকভাবে করতে পাড়ায় দারুণ উচ্ছ্বসিত এই ক্রিকেটার, 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দলকে জেতানো এবং যা কিছু করার জন্য আমি তা করতে প্রস্তুত। এক বা দুই রানে হোক কিংবা বাউন্ডারি, দল যা চায় তা আমি করি। আমাকে এই টুর্নামেন্টে একটি ভূমিকা দেওয়া হয়েছে এবং আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী সেটি খেলার চেষ্টা করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Divisions widen over July Charter’s status, implementation

Major political parties are divided over the July Charter’s implementation timeline

11h ago