প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হওয়ার কারণে শুধু ২০২৪ সালেই ঋণদাতাদের ‘কমিটমেন্ট চার্জ’ পরিশোধ করতে হয়েছে ৩ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের মাথাপিছু বিদেশি ঋণ ১৩৫ শতাংশ বেড়ে ৬০৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঋণের সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা
তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকের তুলনায় এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে বিদেশি ঋণ বেড়েছে চার শতাংশ।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণত অর্থবছরের শুরুতে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি থাকে, ফলে ঋণ বিতরণ কমে যায়।
বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ বেড়ে যাওয়ার দুটি বড় কারণের একটি হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী বাজারভিত্তিক সুদের হার বেড়ে যাওয়া।
গত দেড় দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে বেড়েছে এবং সরকার এই ধারা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা করছে
চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ঋণের আসল পরিশোধের পরিমাণও ২৮ শতাংশ বেড়ে ৩১৭ কোটি ডলারে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতে মোট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
গত দেড় দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে বেড়েছে এবং সরকার এই ধারা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা করছে
চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ঋণের আসল পরিশোধের পরিমাণও ২৮ শতাংশ বেড়ে ৩১৭ কোটি ডলারে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতে মোট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী অর্থবছরে দেশীয় ঋণের সুদ পরিশোধে বরাদ্দ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল বরাদ্দের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা হতে পারে।
গতকাল রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
সিপিডি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণ এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার হার বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল শেষে সামগ্রিক বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার, যা এক বছর আগে ছিল ৯৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
এই অব্যবহৃত ঋণ বিদ্যমান প্রকল্পগুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকার পরও তা ব্যবহারের সক্ষমতা না থাকার ইঙ্গিত, যা দেশের জন্য কোনো ভালো লক্ষণ নয়।
তহবিলের মূল অর্থ পরিশোধ ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শুরু হয়। এর মেয়াদ সাধারণত ২০ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত থাকে। তবে ঋণ বিতরণের পর সুদ পরিশোধ শুরু হয়ে যায়। তাই, বাংলাদেশের জন্য সুদের খরচ বাড়ছে।
কিন্তু ডলারের কম মজুদ, টাকার অবমূল্যায়ন ও বৈশ্বিক সুদের উচ্চহারের কারণে উদ্যোক্তারা এই ধরনের ঋণ এড়িয়ে চলছেন।