ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম

গত ২৬ ডিসেম্বর দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সুস্পষ্টভাবে আইন লঙ্ঘন করে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্ধারিত সময়ের পর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে। এটি এই কমিশনের আরেকটি নিন্দনীয় কাজ। যদিও পুরো মেয়াদজুড়ে বিতর্কিত অবস্থানে থাকা কমিশনের এমন কাজ অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়।

গত ২৬ ডিসেম্বর দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সুস্পষ্টভাবে আইন লঙ্ঘন করে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্ধারিত সময়ের পর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে। এটি এই কমিশনের আরেকটি নিন্দনীয় কাজ। যদিও পুরো মেয়াদজুড়ে বিতর্কিত অবস্থানে থাকা কমিশনের এমন কাজ অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৮ ডিসেম্বর ইফতেখার হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরদিন এমদাদুল হক ভূঞা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংযুক্ত করে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

তবে জমা দেওয়ার চূড়ান্ত তারিখের পরদিন ১০ ডিসেম্বর ইফতেখার আওয়ামী লীগের মনোনয়নসহ আবারও মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সম্পূর্ণভাবে আইন লঙ্ঘন করে নির্বাচন কমিশন তার নতুন মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে এবং তার আগের মনোনয়নপত্র বাতিল করে। একইসঙ্গে এমদাদুল হকের মনোনয়ন বাতিল করে দেয় কমিশন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনিয়নের নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে সময়সীমার পর জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন।

নির্বাচন কমিশন যে কারো চাপে আইন ভাঙতে এতটা তৎপর হয়েছে, বিষয়টি দুঃখজনক। যথাযথ কারণেই আইন করা হয়েছে।

একই উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নসহ আরেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। আর প্রার্থী স্বতন্ত্র আবদুর রউফ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু, রউফ দলীয় প্রার্থিতা পান এবং অপর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

গত ২৭ নভেম্বর দেওয়া নির্বাচন কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে পারবে না। এতে বলা হয়, 'একটি দল একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।'

স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের ১২ ধারায়ও বলা হয়েছে, কেউ যদি একাধিক মনোনয়নপত্রে সই করেন তবে প্রথমটি ছাড়া তাদের সব মনোনয়নপত্র বাতিল হবে। তাহলে কিসের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন এসব বিধি লঙ্ঘন করেছে?

নির্বাচন কমিশনের কাছে জনগণের ব্যাখ্যা প্রাপ্য হয়েছে। বছরের পর বছর নির্বাচনী অনিয়ম মোকাবিলায় কমিশনের ব্যর্থতা খুবই দুঃখজনক। এখন এটি নিজেই আইন ভঙ্গ করছে। আমাদের গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনকভাবে খারাপ উদাহরণ তৈরি করছে।

বিষয়টি এখন হাইকোর্টে পৌঁছেছে এবং আমরা আশা করি আদালত আইনের সঠিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী রায় দেবেন। আমরা আরও আশা করি, আদালত নির্বাচন কর্তৃপক্ষকে আইনের প্রতি স্পষ্ট অবহেলার জন্য জবাবদিহি করতে বলবেন এবং জনগণের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকারকে অবজ্ঞা করার জন্য জবাব দিতে বলবেন।

অনুবাদ করেছেন জারীন তাসনিম

Comments

The Daily Star  | English

A kg of beef for a maund of paddy!

Lack of monitoring, awareness deprives Gazipur farmers of fair price

23m ago