বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকোচন, বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যখন ৩ শতাংশের বেশি সংকোচন দেখা যাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ ২০২০ ও ২০২১ সালে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফাইল ছবি

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যখন ৩ শতাংশের বেশি সংকোচন দেখা যাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ ২০২০ ও ২০২১ সালে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

আজ বুধবার জাতিসংঘের এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি, দারিদ্র্য হ্রাস এবং উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন (এমপিএফডি) সংক্রান্ত কমিটির তৃতীয় অধিবেশনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

থাইল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের অর্থনৈতিক উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ভিডিও বার্তার মাধ্যমে উপস্থাপিত বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'কোভিড -১৯ আমাদের উন্নয়নের পথে বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার পথে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে।'

তিনি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নেতাদের প্রতি এ অঞ্চলের মানুষের জন্য  সার্বজনীন ও সাশ্রয়ী টিকা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, 'বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের মাধ্যমে বৈশ্বিক শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য গর্ব অনুভব করে। একইভাবে বাংলাদেশ জাতিসংঘের অন্যান্য বেসামরিক কর্মকাণ্ডেও সরাসরি অবদান রাখতে আগ্রহী।'

নীতি বিশ্লেষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং চাহিদা ভিত্তিক আঞ্চলিক উপদেষ্টা পরিষেবার মাধ্যমে ইউএনএসকাপ বাংলাদেশকে বিরূপ পরিবেশে টিকে থাকার সক্ষমতা তৈরি করতে এবং আঞ্চলিক যোগাযোগকে গভীর করতে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।

পাশাপাশি, ইউএনএসকাপ টেকসই উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে সমর্থন এবং বহু অংশীদারিত্ব বিকাশে সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

এ ছাড়া, মন্ত্রী ইউএনএসকাপের বিষয়ভিত্তিক উপদেষ্টা গোষ্ঠী গঠনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান।

কমিটিতে কোভিড -১৯ এর ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক নীতি এবং উদ্ভাবনী অর্থায়ন কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা আর্থিক সম্পদের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের সংযোগ সাধনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। 

থাইল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী আড়খোম টারম্প পিতিয়া আইসিথ, ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী শ্রী মুলিয়ানি ইন্দ্রবতী, ভুটানের অর্থমন্ত্রী লিওনপো নামগে শেরিং এবং পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী এইচ মিস্টার ওমর আইয়ুব খান উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Three difficult choices to heal economy

Bangladesh yesterday made three major decisions to cushion the economy against critical risks such as stubborn inflation and depletion of foreign currency reserves.

4h ago