আগস্টে শেয়ারবাজারে রেকর্ডের পর রেকর্ড

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) জন্য আগস্ট একটি রেকর্ড ভাঙার মাস। এ সময় বাজার মূলধনসহ ডিএসইর সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ সূচক ও লেনদেন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
ফাইল ফটো

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) জন্য আগস্ট একটি রেকর্ড ভাঙার মাস। এ সময় বাজার মূলধনসহ ডিএসইর সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ সূচক ও লেনদেন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।

দেশের প্রধান এই শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সম্প্রতি ৬ হাজার ৮৮৪ পয়েন্টে পৌঁছায়। ২০১৩ সালের পর যা সর্বোচ্চ। একইভাবে বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক ডিএস-৩০ ও শরীয়াহ সূচক বা ডিএসইএস যথাক্রমে রেকর্ড ২ হাজার ৪৬৩ ও ১ হাজার ৪৯৪ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

এদিকে গত বুধবার ডিএসইতে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৫৯ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। ১৯৫৬ সালে স্থানীয় এই শেয়ারবাজার খোলার পর যা সর্বোচ্চ।

সেই সঙ্গে চলতি মাসে একদিনে ঢাকার পুঁজিবাজার রেকর্ড ৪ লাখ ২১ হাজার ক্রয় বা বিক্রয়াদেশ নিষ্পন্ন করে। একইভাবে রেকর্ড ১০১ কোটি শেয়ারের হাতবদল হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজার সংশ্লিষ্ট একজন (ব্রোকার) বলেন, 'একই মাসে সবগুলো রেকর্ড ভাঙার কারণ হচ্ছে, কম সুদে ব্যাংকে বিনিয়োগের চেয়ে মানুষ এখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে পছন্দ করছে।'

যে কারণে ২০১০ সালের মতো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ডিএসইর তথ্য অনুসারে, আগস্ট মাসে দেশের প্রধান এই পুঁজিবাজারে দৈনিক দুই হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এর আগে ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে একবারই এটা ঘটেছিল।

ওই ব্রোকারের মতে, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের ঊর্ধ্বমুখী এই প্রবণতা শুরু হয়েছিল গত এপ্রিলে। তিনি বলেন, 'বাজারের গতি যেহেতু ঊর্ধ্বমুখী, সেহেতু কিছু সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও আসছে। সুতরাং গত পাঁচ মাস ধরে সূচকগুলো বেড়েই চলেছে।'

ডিএসইর তথ্য অনুসারে, আগস্টে সূচক বেড়েছে ৩৭০ পয়েন্ট। যা চলতি বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাসিক বৃদ্ধি। এর আগে মে মাসে এটি ৪৭৩ পয়েন্টে পৌঁছেছিল।

একজন মার্চেন্ট ব্যাংকারের মতে, পুঁজিবাজারের এই উত্থানের পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। যেমন- ব্যাংকের স্বল্প সুদ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার বর্তমান কমিশনের ওপর আস্থা এবং শেয়ারের দাম কম থাকা।

ওই মার্চেন্ট ব্যাংকার বলেন, কিন্তু এগুলো বাদেও কিছু কোম্পানি আসলে অতিমূল্যায়িত। তাই বিনিয়োগকারীদের সতর্ক হওয়া দরকার।

উদাহরণ হিসেবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাজারে কিছু বীমা কোম্পানির শেয়ার ও কম পরিশোধিত মূলধনভিত্তিক কোম্পানির শেয়ার অতিমূল্যায়িত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ওই মার্চেন্ট ব্যাংকার। তিনি আরও বলেন, 'যাই হোক, এখনও কিছু জায়গা আছে যেখানে মানুষ বিনিয়োগ করতে পারে।'

অনুবাদ করেছেন মামুনুর রশীদ

Comments