অবশেষে আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ

অবশেষে আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশপ্রথমবারের মতো নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ডকে অন্তর্ভুক্ত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। বুধবার এক সংবাদ বিবৃতিতে পরবর্তী আসরের জন্য টাইগ্রেসদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি জানায় বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

২০২৫ সালের আইসিসি নারী বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের জন্য ১০টি দলের লিগ তৈরি করেছে আইসিসি। সবগুলো দলই আটটি করে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বলে পারস্পরিকভাবে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি হোম সিরিজ এবং চারটি অ্যাওয়ে সিরিজ রয়েছে। 

আইসিসির প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান এবং আয়ারল্যান্ডকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবে দলটি।

লিগ থেকে শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি দলসহ স্বাগতিকরা সরাসরি ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। বাকি দুটি দলকে বাছাই করা হবে ছয়টি দলের সমন্বয়ে একটি গ্লোবাল কোয়ালিফায়ার থেকে।  বাকি চারটি দলের দুটিকে ওডিআই র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী নির্বাচিত হবে।

আরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জোতি, 'আমি খুব খুশি। আমি মনে করি এটা আমাদের দলের জন্য খুব ভালো খবর। এখন আমরা মাত্র কয়েকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পাচ্ছি কিন্তু এ সিদ্ধান্তের পর আমরা আরও ম্যাচ খেলতে পারব। আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়বে।'

'হোম সিরিজে আমরা সুবিধা পাব। কিন্তু আমি মনে করি মূল চ্যালেঞ্জ হবে বিদেশের মাটিতে ম্যাচ জেতা। আমি মনে করি আমাদের লক্ষ্য হবে চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠা এবং এই সিরিজগুলোতে ভালোভাবে পারফর্ম করা,' যোগ করে আরও বলেন টাইগ্রেসের অধিনায়ক।

বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ডকে এ প্রতিযোগিতায় স্বাগত জানিয়েছেন আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের আগের দুই সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া মেগ ল্যানিং, 'বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ডকে যোগ করা, তাদের বিপক্ষে আরও বেশি ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাওয়ায় শুধু আমাদের জন্য দারুণ হবে না, বরং শীর্ষ দেশগুলির বিপক্ষে তারা আরও বেশি নিজেদের উপস্থাপন করতে পারবে। আমরা নারীদের খেলাকে যতটা সম্ভব শক্তিশালী দেখতে চাই। এবং যা দেশগুলোর ক্রিকেটকে পরবর্তী স্তরের উন্নয়ন করার একটি বড় অংশ।'

এরমধ্যেই, পাঁচটি সহযোগী নারী দল - নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউ গিনি, স্কটল্যান্ড, থাইল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ওডিআই স্ট্যাটাস দিয়েছে আইসিসি।

Comments

The Daily Star  | English
problems in filing complaints in police stations

No scope to verify authenticity when cases are filed: IGP

Instructions have already been issued to ensure that no one is arrested in a harassing manner, he says

2h ago