অবসরে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মরগ্যান

ফর্ম ও ফিটনেস নিয়ে গত প্রায় ১৮ মাস ধরে ভুগছিলেন ইয়ন মরগ্যান।
ছবি: রয়টার্স

ফর্ম ও ফিটনেস নিয়ে গত প্রায় ১৮ মাস ধরে ভুগছিলেন ইয়ন মরগ্যান। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে যা পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ধকল এড়াতে না পারায় এরপর থেকে শুরু হয় তার অবসরের গুঞ্জন। শেষ পর্যন্ত তা রূপ নিল বাস্তবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক মরগ্যান।

মঙ্গলবার ৩৫ বছঅর বয়সী মরগ্যানের অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ২০১৯ সালে ঘরের মাঠ লর্ডসে তার সুযোগ্য নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পায় ইংলিশরা। এর আগে ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা ইংল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ইংলিশদের সবশেষ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন মরগ্যান। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কুঁচকির চোটের কারণে খেলা হয়নি তার। এর কয়েক দিন পরই এসেছে অবসরের ঘোষণা। বিদায়ী বার্তায় মরগ্যান বলেছেন, 'যত্ন সহকারে আলাপ-আলোচনা ও বিবেচনার পর আমি অবিলম্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আমার অবসরের ঘোষণা করছি।'

ডাবলিনে জন্ম নেওয়া মরগ্যানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ২০০৬ সালে। জন্মভূমি আয়ারল্যান্ডের হয়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৩ ওয়ানডে খেলেন তিনি। এরপর ২০০৯ সালে তিনি দল পাল্টে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব শুরু করেন। মা ইংলিশ হওয়ায় জন্ম থেকেই মরগ্যানের ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল।

২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে মরগ্যানের কাঁধে উঠেছিল ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের ক্রিকেটের নেতৃত্ব। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওই আসরে হতাশা জাগিয়ে প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যায় তারা। কিন্তু তাতে দমে না গিয়ে নতুন ঘরানায় ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে শুরু করে ইংলিশরা। সেখানে সামনে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মরগ্যান। ধারাবাহিকতার ফলও মেলে দারুণভাবে। তিন বছর আগে ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্ব জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হয় ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ডের জার্সিতে ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে একগাদা রেকর্ড সঙ্গী করে আন্তর্জাতিক মঞ্চের পাঠ শেষ করলেন মরগ্যান। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই সংস্করণেই দলটির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ও সবচেয়ে বেশি রান করার কীর্তি তার দখলে। ২২৫ ওয়ানডেতে ৩৯.৭৫ গড়ে ৬৯৫৭ রান করেছেন ১৩ সেঞ্চুরিসহ। এই সংস্করণে ১২৬ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৭৬ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে জিতিয়েছেন তিনি। এত বেশি জয়ের হার (৬০.৩২ শতাংশ) নেই দেশটির ইতিহাসের আর কোনো অধিনায়কের।

ভারতের সাবেক দলনেতা মহেন্দ্র সিং ধোনির পাশাপাশি মরগ্যানও ৭২ টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের অধিনায়কত্ব করেন। এই সংস্করণের সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ড যৌথভাবে তাদের। সব মিলিয়ে ১১৫ টি-টোয়েন্টিতে মরগ্যানের রান ২৪৫৮। থ্রি লায়ন্সদের হয়ে ১৬ টেস্ট ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরিও আছে তার।

Comments

The Daily Star  | English
World Bank

Economy to remain under stress

The World Bank has revised down its growth forecast for fiscal 2023-24 to 5.6 percent as the Bangladesh economy is expected to remain stressed throughout the year thanks to persistent inflationary pressures and external sector challenges.

2h ago