অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সিরিজে ডিআরএস অনিশ্চিত

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডিশিসন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। কোয়ারেন্টিন জটিলতায় ডিআরএস অপারেটর এখনো নিয়োগ দিতে না পারায় এই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এবার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কঠোর লকডাউনের মধ্যে হবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বেধে দেওয়া কড়া নিয়মের কারণে এরমধ্যে বিসিবিকে তৈরি করতে হচ্ছে কঠোর সুরক্ষা বলয়।
সাধারণত দেশের বাইরে থেকে আনা হয় ডিআরএস অপারেটর। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা.দেবাশীষ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, এই সিরিজে বলয়ে প্রবেশ করতে হলে কমপক্ষে দশ দিন আগে কোয়ারেন্টিনে প্রবেশ করার বাধ্যবাধকতা আছে। সিরিজ শুরুর বাকি আছে আর ৫ দিন। এখনো তেমন কেউ এসে যোগ দেননি।
সুরক্ষা বলয়ের বাইরে থেকে ডিআরএস অপারেট করতে চাইলেও থাকছে জটিলতা। লকডাউনের মধ্যে কাউকে বাংলাদেশ ভ্রমণ করলে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী করতে হবে কোয়ারেন্টিন। সিরিজ ঘনিয়ে আসায় আপাতত সেই বাস্তবতাও নেই। তবে ডিআরএস না থাকার বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ডিআরএসের মতো প্রযুক্তি স্থানীয়ভাবে কাউকে নিয়োগ দিয়ে চালানোর সম্ভাবনাও ক্ষীণ।
সিরিজ খেলতে ২৯ জুলাই বিকেলে ভাড়া করা বিমানে বাংলাদেশে আসবে অস্ট্রেলিয়া দল। বিমান থেকে নেমেই গাড়ি করে তারা চলে যাবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। একইদিন সকালে জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল। দুই দল তিনদিন কোয়ারেন্টিন করে যোগ দেবে অনুশীলনে।
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ম্যাচ অফিসিয়াল, সংশ্লিষ্ট সবাই এরমধ্যেই হোটেলে কোয়ারেন্টিনে আছেন।
৩ অগাস্ট শুরু হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। ৪ তারিখ দ্বিতীয় ম্যাচের পর ৫ অগাস্ট বিরতি। ৬ ও ৭ তারিখ আবার দুই ম্যাচের পর ৮ তারিখ বিরতি। ৯ অগাস্ট হবে শেষ ম্যাচ।
Comments