অ্যাশেজে এবার ‘স্নিকো’ বিতর্ক

দাবিদ মালানের ব্যাট বল লেগেছিল কিনা পরিস্কার হওয়া যায়নি । ছবি: সংগ্রহ

'নো' বল ধরার প্রযুক্তি না থাকার পর ব্রিসবেন টেস্টে এবার 'স্নিকো' প্রযুক্তি না থাকায় তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। ডিআরএস থাকলেও স্নিকো না থাকায় কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল।

ব্রিসবেনে দ্বিতীয় দিনে বেন স্টোকসের ১৪টি নো বলের মধ্যে আম্পায়ারদের নজরে আসে মাত্র দুটি। পরে জানা যায় প্রতিটি বলে 'নো' বল ধরার যে প্রযুক্তি থাকার কথা সেটি কাজ করছিল না। ক্রিকেটের বর্তমান প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী প্রতিটি বলে মাঠের আম্পায়ারের পাশাপাশি  টিভি আম্পায়ারও 'নো' বল হয়েছে কিনা তা নজরদারি করেন।

তৃতীয় দিনে জানা গেল নেই 'স্নিকো' প্রযুক্তিও। ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন প্রযুক্তির এই সীমাবদ্ধ অবস্থা সম্পর্কে দুই দলকেই অবিহিত করেছেন।

'স্নিকো' প্রযুক্তির মাধ্যমে বল ব্যাট স্পর্শ করেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়। হটস্পট থাকলেও স্নিকো না থাকায় ডিআরএসের সম্পূর্ণ সুবিধ মিলছে না।

প্রথম দিনের খেলায় জস বাটলারের বিপক্ষে একটা আবেদনে রিভিউ নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। হটস্পট দেখা যায় বল লেগেছে থাই প্যাডে। তবে তখন স্নিকো প্রযুক্তির ব্যাবহার দেখা যায়নি।

তৃতীয় দিনে বিতর্ক হয়েছে বড়। ১৬ রানে থাকা ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান দাবিদ মালান জশ হ্যাজেলউডের বলে পরাস্ত হন। কট বিহাইন্ডের আবেদন করে অস্ট্রেলিয়া। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় তারা। কিন্তু কেবল হটস্পট প্রযুক্তিতে ব্যাটে বল লেগেছে কিনা তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি। হটস্পটে ঝাপসা একটি ছাপ দেখা যায়। কিন্তু সুর্নিদিষ্ট প্রমাণের জন্য দরকার ছিল স্নিকো।  টিভি আম্পায়ারকে তাই বাধ্য হয়ে মাঠের আম্পায়ারের দেওয়া নট আউট সিদ্ধান্ত বহাল রাখতে হয়েছে। এই নিয়ে হতাশা ঝরেছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের। দিনশেষে ৮০ রানে অপরাজিত থাকা মালান আক্ষেপ বাড়াচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার।

তবে এসব প্রযুক্তি না থাকায় আয়োজক হিসেবে দায় অস্ট্রেলিয়ারই। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে কিছু ভ্রমণ জটিলয়ায় সব প্রযুক্তি পুরোপুরি সেটআপ করা সম্ভব হয়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago