আফগানদের বড় লিডের পর বাংলাদেশের যুবাদের লড়াই

দারুণ এক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মূল ভোগান্তির কারণ ছিলেন বিলাল সাদিয়া। কিন্তু এদিন ১০ নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান ফয়সাল খান আহমেদজাইও ভোগালেন। তাতে বড় লিড পেয়ে যায় আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াইটা ভালোই করছে বাংলাদেশ। যদিও শেষ বিকেলে জোড়া উইকেট হারিয়ে ফের কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে যুবা টাইগাররা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে যুবাদের টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৫১ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮১ রান তুলেছে। প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশের যুবারা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৭০ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করেছে।
তবে প্রথম ইনিংসেই আফগানদের ১১৯ রানের লিডই পিছিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের যুবাদের। দ্বিতীয় ইনিংসেও টপ অর্ডারের চার উইকেট হারিয়েছে তারা। তবে বাংলাদেশের আশার প্রদীপ হয়ে উইকেটে এখনও রয়েছেন অধিনায়ক আইচ মোল্লা। ওয়ানডেতে সেঞ্চুরিও করেছিলেন তিনি। তার ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এদিনও শুরুটা ভালো হয়নি যুবাদের। শুরুতেই খালি হাতে বিদায় নেন ওপেনার ইফতেখার হোসেন। ফলে শুরুতেই চাপে পড়ে তারা। দ্বিতীয় উইকেটে খালিদ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। ৫৭ রানের জুটিতে সে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
এরপর খালিদ বিদায় নিলে অধিনায়ক আইচ মোল্লাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন। তৃতীয় উইকেটে ৯১ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে বড় লিডের স্বপ্ন দেখান এ দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর ৪ রানের ব্যবধানে আরও একটি উইকেট হারায় তারা। ফলে ফের চাপে পড়ে যায় যুবা টাইগাররা। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন অধিনায়ক আইচ মোল্লা। আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ১৮ রানের জুটি গড়ে দিন শেষ করেছেন তিনি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস খেলে নাঙ্গেওলিয়া খারোতের বলে আউট হন নাবিল। ১৬৬ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। অধিনায়ক আইচ মোল্লা ৪০ রানে অপরাজিত আছেন। ১০৮ বলে ৩টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। তার সঙ্গে ১৪ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন আশরাফুল।
সকালে আগের দিনের ৮ উইকেটে ২২৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা আফগান যুবারা এদিন শেষ দুই উইকেট হারিয়ে আরও ৫৫ রান যোগ করেন। যদিও সেঞ্চুরিয়ান বিলাল সায়েদি এদিন আর ১৩ রান করতে পেরেছেন। তবে ১০ নম্বরে নামা ফয়সাল খান আহমেদজাই যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। ফলে বেশি বড় লিডই পায় আফগানরা।
শেষ পর্যন্ত ১১৪ রান করে আইচ মোল্লার বলে আউট হন বিলাল সায়েদি। ৩৪০ বলে ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৯৯ বলে ৩৯ রান করেন ফয়সাল। বাংলাদেশের যুবাদের হয়ে ৭১ রানে ৩টি উইকেট নেন আশরাফুল ইসলাম। ২টি শিকার আইচ মোল্লার।
Comments