ঋদ্ধিমানকে দেওয়া আশ্বাস রাখেননি সৌরভ!

গত নভেম্বরে কানপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানকে তখন ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা না করতে আশ্বাস দিয়েছিলেন খোদ বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি। কিন্তু আড়াই মাসের মধ্যে বদলে গেছে বাস্তবতা। ঋদ্ধিকে দল থেকে বাদ দিয়ে অবসর নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভারতের টেস্ট দলে একমাত্র বাঙালি ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন ঋদ্ধিমান। তবে একাদশে সুযোগ তার আসত কমই। প্রথম পছন্দের কিপার রিশভ পান্ত চোটে থাকলে সুযোগ মিলত তার।
ঋদ্ধিমানের এখন সব পথই বন্ধ। কারণ ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। ব্যাকআপ কিপার হিসেবে দলে জায়গা করে নিয়েছেন অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকার ভরত।
কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার ও টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাতকারে ঋদ্ধিমান জানান, প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা ও কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কাছ থেকে পরিষ্কার বার্তা পেয়েছেন তিনি। এই দুজনই তাকে আর বিবেচনা না করার কথা জানিয়েছেন, 'টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে জানিয়েছে তারা এখন থেকে আমাকে আর বিবেচনা করবে না। এমনকি কোচ রাহুল দ্রাবিড় আমাকে অবসর নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন।'
বাঙালি এই ক্রিকেটারের হতাশার আঙুল প্রভাবশালী আরেক বাঙালির দিকেই, কানপুরে দলের বিপদে ৬১ রান করার পর খোদ সৌরভ যে তাকে দিয়েছিলেন আশ্বাস, 'কানপুরের ওই ইনিংসের পর দাদি (সৌরভ গাঙ্গুলি) হোয়াটসঅ্যাপ করেছিল। বলেছিল, আমি যত দিন আছি, ভাবতে হবে না। দাদির কথায় নতুন করে উৎসাহ পেয়েছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতি কেন এত দ্রুত বদলে গেল কেন বুঝলাম না।'
৩৭ পেরুনো এই ক্রিকেটার বলেন, ক্যারিয়ারে সব সময়ই ব্যক্তি স্বার্থের আগে দলকে দেখছেন তিনি, 'দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাকে খেলানো হয়নি। কানপুরে ঘাড়ের অসহ্য যন্ত্রণা নিয়েই দলকে জেতার মতো জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলাম। দেখুন, আমি সব সময় দলের জন্য খেলেছি। ৪০টা টেস্টে কখনও ব্যক্তিগত স্বার্থে খেলিনি। দলের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে খেলেছি। নিজের স্বার্থে খেললে আমার পরিসংখ্যান অনেক বেশি ঝকঝকে হতে পারত।'
ভারতের হয়ে ৪০ টেস্টের ক্যারিয়ারে ২৯.৪১ গড়ে ১ হাজার ৩৫৩ রান করেছেন ঋদ্ধি। কিপিং গ্লাভস হাতে তার আছে ১০৪টি ডিসমিসাল। কেবল কিপিং দক্ষতায় ভারতের সব সময়ের ইতিহাসে সেরাদের একজন বলা হয় তাকে।
Comments