ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবার বাংলাদেশের মেয়েরা
জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। শুরুটাও ছিল দারুণ। তবে চূড়ান্ত পর্বের টিকেট কেটে নিতে আসরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় বাতিল করা হয়েছে প্রতিযোগিতাটি। র্যাঙ্কিং বিবেচনায় বিশ্বকাপের টিকেট মিলেছে বাঘিনীদের।
আগামী বছর নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১২তম আসর। আর এ আসর দিয়েই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদশের মেয়েরা।
সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার 'ওমিক্রন' বি.১.১.৫২৯ নামের ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে আফ্রিকান দেশগুলোতে। এর সংক্রমণ আফ্রিকার সাত দেশ -দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, লেসোথো, এস্বাতিনী ও মোজাম্বিকের ওপর ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কয়েকটি দেশ। যে কারণে আসরটি বাতিল করতে বাধ্য হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
বাংলাদেশসহ আরও কিছু দেশের বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে আইসিসির হেড অব ইভেন্টসের ক্রিস টেটলি বলেছেন, 'বাছাই পর্ব বাতিল হওয়ার কারণে র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ড নতুন চক্রে আইসিসি ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার সুযোগ পাবে।'
আসর বাতিল করার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন টেটলি, 'আফ্রিকাতে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়াতে কয়েকটি দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই অবস্থায় বাছাই পর্ব চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের জন্য বাছাই পর্ব বাতির করাটা বেশ কঠিন ছিল। আমরা দ্রুততার সঙ্গে দলগুলো দেশে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।'
জিম্বাবুয়ের বাছাইপর্ব থেকে তিন দল যাওয়ার কথা ছিল মূল পর্বে। আসরটি বাতিল হওয়ায় র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে দল তিনটি নির্বাচন করেছে আইসিসি। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান।
মূলত গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ে থাকা সেরা ৮ দলকে নিয়েই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। নিউজিল্যান্ডে আগামী বছরের ৪ মার্চ থেকে শুরু হবে এ বিশ্বকাপ।
Comments