কোহলির সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন পন্টিং

সংক্ষিপ্ত সংস্করণগুলোতে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার আভাস আগে থেকে দিয়ে রেখেছিলেন বিরাট কোহলি। তবে তার টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া এসেছে বিস্ময় হয়ে। কোহলির সঙ্গে গত বছরের আলাপ মনে করিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং জানিয়েছেন, খবরটি জানার পর তিনি ভীষণ হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের পর গত ১৫ জানুয়ারি টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে আকস্মিকভাবে সরে যান কোহলি। এর আগে তিনি ছেড়েছিলেন টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব। এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাকে সরিয়ে দিয়েছিল ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে।
পরিসংখ্যানে টেস্টে ভারতের সর্বকালের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হিসেবে তার সরে যাওয়া তৈরি হয় অনেক গুঞ্জন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি নিয়েও বের হয়ে অনেক খবর।
আইসিসি ক্রিকেটডটকমে দেওয়া সাক্ষাতকারে পন্টিং এই বিষয়ে জানান, কোহলি টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবেন এটা তিনিও বিশ্বাস করতে পারেননি, কোহলিকে বরং টেস্টে নেতৃত্ব দিতেই উদগ্রীব দেখা গেছে বেশি, 'আমি আসলে খুবই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম ওকে অধিনায়কত্ব ছাড়তে দেখে। আইপিএলের প্রথম ধাপে আমার সঙ্গে বিরাটের কথা হয়েছিল। ও বলছিল, সাদা বলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যেতে চায়। কিন্তু লাল বলের অধিনায়কত্ব নিয়ে সে খুবই প্যাশনেট ছিল। কাজটা ভীষণ উপভোগ করছিল।'
আগ্রাসী অধিনায়ক হিসেবে পন্টিংয়ের সঙ্গে মিল আছে কোহলির। মাঠে তার উপস্থিতি বরাবরই সরব। যেকোনো পরিস্থিতিতে দলকে চাঙ্গা রাখতে চান তিনি। কোহলির সরে যাওয়া তাই হজমই হচ্ছে না পন্টিংয়ের, 'বিরাট ভারতকে দারুণ সব সাফল্য পাইয়ে দিয়েছে। টেস্ট চলার সময় মাঠের মধ্যে এক ঘণ্টা দেখলেই বোঝা যাবে সে কতটা তীব্র আবেগ নিয়ে এই সংস্করণটা খেলাটা খেলে। মরিয়াভাবে দলকে জেতাতে চায়। ও টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ায় তাই আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। পরে ভাবলাম নিজের কথা। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরও আমি দু'বছরের মতো খেলেছিলাম।'
'কোন দেশের অধিনায়কত্ব করা যদি কঠিন হয় সেটা হচ্ছে ভারত। বিরাট সেই কঠিন কাজ সাত বছর ধরে করেছে। ভারতে সবাই চায় দল জিতুক। এই চাপ তাকে সামলাতে হয়েছে।'
Comments