চাপ নিইনি, লক্ষ্য ছিল ডট বল করার: নাসুম

নিজের চার ওভারের প্রতিটিতে উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেন নাসুম আহমেদ। বাঁহাতি এই স্পিনার ম্যাচের পর জানালেন, সতীর্থ ব্যাটসম্যানরা লড়াইয়ের জন্য বড় পুঁজি দিতে না পারলেও বাড়তি চাপ নেননি তিনি।
মঙ্গলবার রেকর্ড গড়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। অজিদের বিপক্ষে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে এটাই তাদের প্রথম জয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৩১ রান তুলেও ২৩ রানে জিতে তারা সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে। টি-টোয়েন্টিতে আগে কখনও এত কম সংগ্রহ নিয়ে জিততে পারেনি টাইগাররা।
ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৪ উইকেট নেন নাসুম। মন্থর ও টার্নিং উইকেটের সুবিধা পুরোপুরি আদায় করে তিনি ডট দেন ১২টি। অবধারিতভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ২৬ বছর বয়সী নাসুম মাঠে দলের অভিজ্ঞদের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার কথা জানান, 'রিয়াদ ভাই আর সাকিব ভাই মিলে আমাকে অনেক সহায়তা করছিলেন। আমি যতক্ষণ বল করছিলাম, তারা আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন। যে ওভারেই আমি বল করতে যাচ্ছিলাম, আমার সঙ্গে তারা কথা বলছিলেন। আমি (তাদের পরামর্শ অনুসারে) ওইরকমই প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি।'
পুঁজি অল্প হলেও স্নায়ুচাপে ভোগেননি তিনি, 'বাড়তি চাপ তো থাকে। কিন্তু আমি সেটা নিইনি। লক্ষ্যই ছিল ডট বল করার।'
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে পেয়ে অজি ওপেনার জশ ফিলিপিকে ডানা মেলতে দেননি নাসুম। ছক্কা হজমের পর ফিরিয়ে দেন ফিলিপিকে। ক্রিজ ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের দক্ষতায় স্টাম্পড হন তিনি।
১১ রানে ৩ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ছিল অভিজ্ঞ মিচেল মার্শ আর অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডের। তাদের এই জুটি ভাঙেন নাসুম। ডট বল খেলে খেলে চাপে পড়া ওয়েড বাজে শটে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে। সফরকারীদের আশার আলো হয়ে জ্বলতে থাকা মার্শকেও বিদায় করেন নাসুম। ডিপ মিড উইকেট থেকে অনেকটা দৌড়ে মার্শের তোলা ক্যাচ নেন শরিফুল ইসলাম। মাঝে নাসুমের বলে অ্যাস্টন অ্যাগার হন হিট উইকেট।
Comments