ঢাকায় আসার পরদিনই মাঠে সিডন্স

আগের দিন বিকেলে প্রায় এক যুগ পর নতুন ভূমিকায় বাংলাদেশে পৌঁছান জেমি সিডন্স। বিশ্রামের জন্য খুব একটা সময় নিলেন না তিনি। পরদিনই বিপিএলের ম্যাচ দেখতে তাকে পাওয়া গেল মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধান কোচ সিডন্স এবার ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে ফিরেছেন পুরনো ঠিকানায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি আসেন মিরপুর। যে আঙিনা এই অস্ট্রেলিয়ান ছেড়ে গিয়েছিলেন সেই ২০১১ সালে। এদিন বিকেল চারটার পরে তাকে মাঠে প্রবেশ করতে দেখা যায়। পরে ভিআইপি বক্সে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ম্যাচ উপভোগ করতে যান তিনি। হাত নেড়ে অনেকের ডাকে সাড়াও দেন এই কোচ।

২০০৭ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে এসেছিলেন সিডন্স। কাজ করেছেন ৪ বছর। ২০১১ বিশ্বকাপে দল আশানুরূপ সাফল্য আনতে না পারায় তার সঙ্গে চুক্তি বাড়ায়নি তখনকার বোর্ড।
প্রধান কোচ হিসেবে সাফল্য না থাকলেও ব্যাটিং কোচ হিসেবে তার প্রশংসা করেন বাংলাদেশের ওই দলের ক্রিকেটাররা। সিনিয়র কয়েকজন ক্রিকেটারের মতামতের ভিত্তিতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর সিডন্সকে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় বিসিবি। নতুন দায়িত্ব পেয়ে আগের দিন বুধবার বিকেল ৪টায় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন সাকিব আল হাসানদের সাবেক কোচ।
সিডন্স শেষবার দায়িত্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পর বদলেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক বাস্তবতা। এসেছে বেশ কিছু সাফল্য, আবার ব্যর্থতার পাল্লাও বেশ ভারি।
সিডন্সের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটিং পরের ধাপে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে, ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিকতার ঘাটতি নিয়ে কাজ করতে হবে তাকে। তবে এই কোচকে জাতীয় দল নাকি ডেভলপমেন্ট ধাপ- কোন স্তরে কাজে লাগানো হবে তা এখনও পরিষ্কার করেনি বিসিবি।
সিডন্স অবশ্য জানিয়েছেন, যেকোনো পর্যায়েই কাজ করতে মুখিয়ে থাকবেন তিনি। বর্তমানে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ আছেন অ্যাশওয়েল প্রিন্স। সিডন্স জাতীয় দলের দায়িত্ব নিলে প্রিন্সের কাজ কী হবে তা-ও স্পষ্ট করেনি বিসিবি।
জাতীয় দলের দায়িত্ব পেলে আফগানিস্তান সিরিজ থেকেই কাজ শুরু হবে সিডন্সের। এর আগে বিপিএলে ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স পরখ করার সুযোগও মিলবে তার।
Comments