তাড়াহুড়ো না করাই ছিল সাকিবের ‘একমাত্র’ পরিকল্পনা

ম্যাচ শেষে এই তারকা জানালেন দুই তরুণ সতীর্থকে জানিয়েছিলেন তাড়াহুড়ো না করার পরিকল্পনা
Shakib Al Hasan

একদিকে উইকেট পড়ছে, ক্রমশ বাড়ছে শঙ্কা। কিন্তু লক্ষ্যটা তো নাগালেই। খেলাটা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারলে কাজটা হবে যাবে সহজ- সাকিব আল হাসান এমনটা বুঝে গিয়েছিলেন পরিস্থিতি দেখেই। হয়েছেও তা-ই।

রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। ২৪১ রান তাড়ায় এক পর্যায়ে ১৪৫ রানে পড়ে যায় ৬ উইকেট।

সপ্তম উইকেটে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ২৮ আর ৮ম উইকেটে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৬৯ রানের জুটিতে ম্যাচ শেষ করে দেন সাকিব। তার অপরাজিত ৯৬ রানে ভর করে বাংলাদেশ ৫ বল আগে ম্যাচ জেতে  ৭ উইকেটে। এক ম্যাচ বাকি থাকতে জিতে যায় সিরিজও।

ম্যাচ শেষে এই তারকা জানালেন দুই তরুণ সতীর্থকে জানিয়েছিলেন তাড়াহুড়ো না করার পরিকল্পনা,  ‘আফিফের সঙ্গেও একই কথা বলছিলাম, সাইফুদ্দিনের সঙ্গেও তাই। একটাই কথা বলছিলাম। আমরা ব্যাটসম্যানরা যদি ৪৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারি তাহলে দেখতে পারব আমরা কোথায় আছি। তখন ১৫-২০ বা ৩০ রান এটা দুই-তিন ওভারেও করা সম্ভব এখনকার ওয়ানডে ক্রিকেটে। সব সময় লক্ষ্য ছিল খেলা যতটা ক্লোজ করতে পারি। কখনই চিন্তা করিনি যে ৬০-৭০ রান লাগে সেটা তাড়াতাড়ি চেজ করতে হবে। সব সময় জানতাম রানে-বল থাকলে খুবই সহজ।’

আফিফ ১৫ রান করে আউট হলে ১৭৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ওই অবস্থা থেকে ম্যাচ বের করতে সাকিবের একার পক্ষেও সবটা করা সম্ভব ছিল না। তাই ২৮ রানের ইনিংস খেলা সাইফুদ্দিনকে তিনি দিলেন কৃতিত্ব,  ‘উইকেট আজ একটু ভিন্নরকম ছিল, ওইভাবে ব্যাটে আসছিল না। রান করার জন্য শট খেলতে হতো আপনাকে। ব্যাটসম্যান হিসেবে মানিয়ে নিতে হয়েছে। আমি খুশি যে মানিয়ে নিতে পেরেছি। নিয়মিত যেহেতু উইকেট পড়ছিল আমি খুব বেশি কিছু করতেও পারতাম না। কৃতিত্ব দিতে হয় সাইফুদ্দিনকে আসলে ও যেভাবে খেলাটা শেষ করতে পেরেছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Intense traffic grips Dhaka as polytechnic students block Satrasta Mor

Hundreds of students gathered in the intersection around 11:30am, said a traffic sergeant of the area.

1h ago