দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্গ জয় করল ভারত

নতুন ইতিহাস লেখার লক্ষ্য নিয়েই এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় পা রেখেছিল ভারত। প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে নামা দলটির শুরুটাও হলো দারুণ। প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্গ সেঞ্চুরিয়ান থেকেই জয় তুলে নিয়েছে তারা। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।

সেঞ্চুরিয়ারনের সুপারস্পোর্ট পার্কে স্বাগতিকদের ১১৩ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। ৩০৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বৃহস্পতিবার টেস্টের পঞ্চম দিনে এসে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ১৯৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দলটি। ভারত তাদের দুই ইনিংসে করে ৩২৭ ও ১৭৪ রান।

একটি মাঠে নির্দিষ্ট কোনো দলের সাফল্যের নিরিখে সেঞ্চুরিয়ানকে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্গ হিসেবেই মানা হয়। এ ম্যাচের আগে এ মাঠে খেলা ২৬টি টেস্টের মধ্যে ২১টি ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছিল তারা। হেরেছিল মাত্র ২টি টেস্ট। ড্রও ৩টি। শেষ হার ২০১৪ সালে। সবমিলিয়ে সাফল্যের হার ৮০.৭৭ শতাংশ।

অন্যদিকে ভারত এ মাঠে খেলা আগের দুই টেস্টের দুটিতেই হেরেছে। ২০১০ শচিন টেন্ডুলকার (১১১) ও ২০১৮ সালে বিরাট কোহলি (১৫৩) রান করেই জেতাতে পারেননি। তবে এবার লোকেশ রাহুলের (১২৩) সেঞ্চুরি ঠিকই জয় এনে দিল বিরাট কোহলির দলকে।

সবমিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এখন পর্যন্ত ভারতের সাফল্য কেবল ২০১০-১১ মৌসুমে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করা। এছাড়া আফ্রিকায় বাকি ছয়টি সিরিজেই হেরে ফিরতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। এমনকি দেশটির মাটিতে খেলা আগের ২০টি টেস্টের মধ্যে মাত্র ৩টি টেস্টে জয় পেয়েছিল তারা। এবার দারুণ জয়ে শুরু তাদের।

শেষ দিনে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ২১১ রান। আর ভারতের প্রয়োজন ছিল ৬টি উইকেটের। জয়ের রাস্তা দুই দলের জন্য খোলা থাকলেও উইকেট ও পরিস্থিতির বিচারে ভারতের দিকে পাল্লা ছিল ভারী। আর তা করেও দেখালো তারা।

আগের দিনের ৪ উইকেটে ৯৪ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিক দলটি। টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেন অধিনায়ক ডিন এলগার। তবে দলীয় ১৩০ রানে তাকে ছাঁটাই করে ভারতকে দিনের প্রথম সাফল্য এনে দিলেন জসপ্রিত বুমরাহ। এরপর কুইন্টন ডি কককে বোল্ড করেন মোহাম্মদ সিরাজ। আর মোহাম্মদ শামির বলে উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের গ্লাভসে ধরা পড়েন উইয়ান মাল্ডার। ম্যাচ তখনই হেলে পরে ভারতের দিকে।

লাঞ্চের পরে লেজের শেষ তিনটি উইকেট তুলে নিতে খুব বেশি সময় লাগেনি ভারতের। মার্কো জেনসেনকে সেই পান্তের ক্যাচে পরিণত করেন শামি। কাগিসো রাবাডা ও লুঙ্গি এনগিডিকে ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মাত্র ৩০ রানের ব্যবধানে শেষ পাঁচটি উইকেট হারায় দলটি।

তবে এক প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান বাভুমা। ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৮০ বলে ৪টি চারে এ রান করেন তিনি। তবে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক এলগার। ১৫৬ বলে ১২টি চারের সাহায্যে এ রান করেন অধিনায়ক। ভারতের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ ও শামি। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন সিরাজ ও অশ্বিন।

Comments

The Daily Star  | English

Cops get whole set of new uniforms

The rules were published through a gazette yesterday, repealing the previous dress code of 2004

1h ago