নিজেকে ‘বুঝিয়ে’ লিটনের অন্যরকম সেঞ্চুরি

এমনিতে লিটন মানেই শটের বাহার, বিনোদনদায়ক ঝড়ো ব্যাটিং । এদিন লিটন নিজেকে চেনালেন ভিন্নভাবে।
Liton Das
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এর আগে একবারই ফিফটিতে যেতে খেলেছিলেন ৫০ বলের বেশি। সেটাও ৫৪ বলের। এবার ফিফটি করলেন ৭৮ বলে। কিন্তু পরের ৫০ এলো কেবল ৩২ বলে। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দেখা মিলল ভিন্ন রকম এক লিটন দাসের। ম্যাচ শেষে বললেন যেভাবে পার করেছেন কঠিন সময়।

টস হেরে তামিম ইকবালের সঙ্গে ক্রিজে যেতেই ছোবল হানে জিম্বাবুয়ের পেস আক্রমণ। প্রথম দুই ওভারে আসেনি কোন রান। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ব্লেসিং মুজারাবানি ছেঁটে ফেলেন তামিম ইকবালকে।

সাকিব আল হাসান এসে ছটফট করতে করতে ছুঁড়ে দেন উইকেট। মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেনরাও টিকতে পারেননি। ৭৪ রানে যখন ৪ উইকেট পড়ে তখন রানরেটও বেশ মন্থর বাংলাদেশ।

১০ নম্বর বলে রানের খাতা খোলা লিটন সতীর্থদের যাওয়া-আসা দেখে নিজেকে বদলে ফেলেন দ্রুতই। এমনিতে লিটন মানেই শটের বাহার, বিনোদনদায়ক ঝড়ো ব্যাটিং । এদিন লিটন নিজেকে চেনালেন ভিন্নভাবে।

পরিণত মাথায় ব্যাট করতে থাকলেন। ফিফটিতে যেতে মেরেছেন মাত্র ৩ বাউন্ডারি। সেঞ্চুরি করেছেন ৮ বাউন্ডারিতে। উইকেটে প্রচুর দৌড়াতে দেখা গেছে তাকে। ক্যারিয়ারে এই প্রথম এমন ব্যাট করতে দেখা গেল তাকে। ১১০ বলে সেঞ্চুরিতে গিয়ে ১১৪ বলে ১০২ রান করে আউট হয়েছেন। শেষ দিকে টিকে থাকলে ইনিংস হতে পারত অনেক বড়, বাংলাদেশের পুঁজিও তাই। তবে ২৭৬ রান করে ১৫৫ রানের বড় জয় পাওয়ার পর তা আর আক্ষেপের কারণ হয়নি।

ম্যাচ শেষে চতুর্থ সেঞ্চুরি করা এই ওপেনার জানালেন কীভাবে নিজের খোলস বদলে ফেলেছিলেন তিনি,  ‘আজকে প্রথম ২০ ওভার ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি ছিল না। আবহাওয়াও আমাদের অনুকূলে ছিল না। ওদের বোলাররাও খুবই ভাল বল করেছে। আমি এমনিতেও ম্যাচের আগে চাপে ছিলামই যে অনেকদিন ধরে বড় স্কোর করতে পারছি না, একটা রান করতে হবে। এরপর দেখছি যে উইকেট পড়ছে, একটা বাড়তি চাপও এলো যে দলকেও বড় জায়গায় নিতে হবে। কিন্তু সব মিলিয়ে আমি ম্যানেজ করেছি।’ 

পরিস্থিতি দেখেই নিজেকে বুঝিয়ে ইনিংস টেনে নেওয়ার দিকে মন দেন তিনি,  ‘একটা চিন্তা কাজ করেছে যে আমাকে উইকেটে থাকতে হবে। কারণ এই উইকেট এভাবে পারমিট করছে না যে সব ধরণের শট খেলার জন্য। চেষ্টা করেছি স্বাভাবিক থাকতে। টেস্ট ক্রিকেটে যেভাবে হয় সেভাবে। এর ভেতরে অনেক বল ডটও করেছি। কিন্তু মেন্টালি একটা ব্যাপার ছিল। নিজেকে বুঝিয়েছি- পরিস্থিতি অনুকূলে না, এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আমাকে ১০-১৫ ওভার বেশি খেলতে হবে তারপর মারার পরিস্থিতিতে যেতে হবে। আর রিয়াদ ভাই আসার পর খেলাটা অনেকটা, কন্ডিশন ভাল হয়ে গিয়েছিল। সেইসঙ্গে ওরা যখন দুদিক থেকে স্পিন করালো জিনিসটা আমাদের দিকে চলে এসেছে। পেস বোলিং খেলাটাও খুবই ইজি হয়ে গেছে পরে।’

Comments

The Daily Star  | English
Donald Lu to visit Dhaka

Donald Lu arrives in Dhaka

This is the first visit by any US delegation to Dhaka since the interim government, led by Prof Muhammad Yunus, took charge after the fall of the AL government

1h ago