প্রাণহীন ম্যাচে ইমামের জোড়া সেঞ্চুরি

আড়াই বছর পর টেস্ট দলে ফেরাটা জোড়া সেঞ্চুরিতে রাঙালেন ইমাম উল হক। ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী আসাদুল্লাহ শফিকও পেলেন এই সংস্করণে প্রথমবার তিন অঙ্কের স্বাদ। তাদের নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে বিশাল উদ্বোধনী জুটি গড়ল পাকিস্তান। এরপর পুরোপুরি ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে প্রাণহীন ম্যাচে ড্র মেনে নিল দুই দল।
নাটকীয় কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হলে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ফল আসা ছিল অসম্ভব। আগের দিনগুলোর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ম্যাচের শেষদিনেও ছড়ায়নি কোনো উত্তেজনা। খেলার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া।
আগের দিনের ৭ উইকেটে ৪৪৯ রান নিয়ে খেলতে নামা অজিদের প্রথম ইনিংস থামে ৪৫৯ রানে। তাতে ১৭ রানের লিড পায় পাকিস্তান। এরপর ইমাম ও শফিকের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে বিনা উইকেটে ২৫২ রান তোলে তারা। সবমিলিয়ে স্বাগতিকদের লিড দাঁড়ায় ২৬৯ রান।
ইমাম ২৪২ বলে করেন ১৩৬ রান। তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ চার ও ১ ছক্কা। প্রথম ইনিংসে তিনি খেলেছিলেন ৩৫৮ বলে ১৫৭ রানের ম্যারাথন ইনিংস। এই ম্যাচের আগে খেলা ১১ টেস্টে তার সেঞ্চুরি ছিল না একটিও। বাজে ফর্মের কারণে ২০১৯ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাডিলেড টেস্টের পর থেকে পাকিস্তান দলের বাইরে ছিলেন এই বাঁহাতি। লম্বা সময়ের ব্যবধানে ঘরের মাঠে সেই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি।
গত বছরের শেষদিকে বাংলাদেশ সফরে অভিষেক টেস্টে জোড়া হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন শফিক। শুরুতেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের সামর্থ্যের ছাপ রাখা এই ডানহাতি ব্যাটার ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচেই পেলেন সেঞ্চুরি। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ২২৩ বলে ১১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে আট বোলার ব্যবহার করেছিলেন সফরকারী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তাতে মিলেছিল কেবল ৪ উইকেট। বোলারদের জন্য কোনো সুবিধা না থাকা পিচে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনিসহ হাত ঘোরান নয় জন। ডেভিড ওয়ার্নার ও উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি ছাড়া সবাই বল করেন। কিন্তু সাফল্য আসেনি একটিও।
এর আগে সকালে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস টেকে কেবল ৩.১ ওভার। ১০ রান যোগ করতে তারা হারায় বাকি ৩ উইকেট। কামিন্সকে ইমামের ক্যাচ বানানোর পর নাথান লায়নকে এলবিডব্লিউ করে অজিদের অলআউট করে দেন নুমান আলী। মাঝে মিচেল স্টার্ককে ফেরান শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাঁহাতি স্পিনার নুমান সাদা পোশাকের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট শিকার করেন। ১০৭ রানে তিনি নেন ৬ উইকেট।
করাচিতে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে আগামী ১২ মার্চ। সিরিজটি আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত।
Comments