বাবর 'বুঢঢা' বলে ডাকায় উল্টো অনুপ্রাণিত শাদাব

ব্যাট হাতে দলের বিপর্যয় সামলেছেন শাদাব খান। দলকে এনে দিয়েছেন লড়াইয়ের পুঁজি। কিন্তু তখনও মূল কাজটা বাকি তার। দলের মূল স্পিনারই যে তিনি। কিন্তু ফিল্ডিংয়ের সময় পায়ে আঘাত পান। তখন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম তাকে 'বুঢঢা' বা বুড়ো বলেই খেপান। সে কথাই যেন তাতিয়ে দেয় শাদাবকে। এরপর নয় ওভার বল করে পেলেন চারটি উইকেট। তাতেই কুপোকাত ক্যারিবিয়ানরা।
মুলতানে আগের দিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১১৭ রানেই প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। তখন খুশদিল শাহকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শাদাব। প্রায় শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে দলকে এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজি। এরপর বল হাতে শিকার করেন চার ক্যারিবিয়ান ব্যাটারকে।
ম্যাচ শেষে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানান এ অলরাউন্ডার, 'এটি খুব চাপের একটি পরিস্থিতি ছিল। আমি এবং খুশদিল শাহ দ্বিতীয় পাওয়ারপ্লে পর্যন্ত সহজভাবে খেলার এবং আমরা শেষ পাওয়ার প্লেতে ৩৮তম ওভারের দুই ওভারের পর আমাদের সুযোগ গ্রহণ করব পরিকল্পনা করেছিলাম।'
তবে এ সব ছাপিয়ে যায় বাবর আজমের মজা নিয়ে। মাঝে ফিল্ডিংয়ের সময় পায়ে ব্যথা পান শাদাব। কিছুটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন। তাই দেখে অধিনায়ক বাবর তাকে ডাকেন বুঢঢা বলে। তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে দেখিয়ে দেওয়ার তাগিদ অনুভব করেন তিনি, 'বাবর আমাকে বুড়ো বলে ডাকায় আমি অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি। চোট পাওয়ার পর, সঠিকভাবে ফিল্ডিং করাই কঠিন ছিল, তাই সে আমাকে বুড়ো বলেছে।'
ইনজুরি নিয়েও শেষ পর্যন্ত খেলেছেন শাদাব। বোলিংও করেছেন ৯ ওভার। উইকেট শেষ না হলে কোটাও পূরণ করতেন তিনি। তবে কঠিন সময়ে বল করার কায়দাটা এইচপি ক্যাম্পে শিখেছেন এ তারকা, 'আমি ন্যাশনাল হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে বেশি ওভার বল করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। কারণ ইনজুরির পরে বল করাটা প্রথমে কঠিন ছিল। আশা করি, আমি কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাব এবং উন্নতি করার চেষ্টা করব।'
তবে দিন শেষে ক্রিকেটে অনেক কিছুই হতে পারে বলে মনে করেন শাদাব। নিকোলাস পুরানের চার উইকেট পাওয়াকে উদাহরণ হিসেবে টেনে আরও বলেন, 'এটা ক্রিকেট, আপনি ভালো ব্যাটিং পিচে আউট হতে পারেন। আজকে দেখেছেন, নিকোলাস পুরান চার উইকেট নিয়েছেন। আমি প্রথমবার পুরানকে বোলিং করতে দেখেছি এবং সে চার উইকেট নিয়ে নিয়েছে।'
Comments