'মহাভাগ্যবান' ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার
খুব কাছ থেকেই যখন হাসিব হামিদ সরাসরি স্টাম্প ভাঙতে পারলেন না তখনই ডেভিড ওয়ার্নারকে সবচেয়ে ভাগ্যবান ক্রিকেটারের তকমাটা দিয়ে দিলেন ধারাভাষ্যকাররা। এটা তো আউট হতে হতে না হওয়া। কিন্তু ক্যারিয়ারে অনেকবারই আউট হয়েও বেঁচে গিয়েছেন ওয়ার্নার। নো-বল হওয়ার কারণে। শেষ সাত বছরে টেস্ট ক্রিকেটেই সংখ্যাটা পাঁচবার। সেখানে তাকে মহাভাগ্যবান ক্রিকেটার না বলে উপায় আছে।
অবশ্য ক্রিকেট খেলার সঙ্গেই ভাগ্যের একটা প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র ভাগ্যের কারণেই বদলে যায় ম্যাচের ফলাফল। প্রতিকূল পরিবেশে বহু ম্যাচে ফলাফল নির্ধারণ করে দিয়েছে টস। সেখানে একজন খেলোয়াড় যদি কিছুটা ভাগ্যের সঙ্গ পায় সেটা আলাদা করে উল্লেখ করার তেমন কিছু থাকে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু ক্রিকেটারদের জন্য ভাগ্যদেবী যেন একটু বেশিই সহায় হয়েছে। তেমনই একজন ওয়ার্নার।
আর ক্রিকেটের সব সংস্করণের মধ্যে কঠিন সংস্করণই টেস্ট ক্রিকেট। সবচেয়ে মর্যাদারও বটে। ধৈর্যের এ খেলায় বোলারদের সুযোগ থাকে কিছুটা কমই। একটা উইকেট তুলে নিতে কতোটা কাঠখড় পোড়াতে হয় জানেন বোলাররা। সেখানে একটি জীবন যে সব ক্রিকেটাররাই জন্যই মহামূল্যবান। যেমন আগের দিন ১৭ রানে জীবন পাওয়া ওয়ার্নার খেললেন শেষ পর্যন্ত ৯৪ রানের ইনিংস।
আর এ জীবনটা পেয়েছেন ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর লড়াই অ্যাশেজে। তাই ওয়ার্নারের জীবন পাওয়া নিয়ে একটু বেশিই আলোচনা হচ্ছে। বেন স্টোকসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড হয়ে যান এ ওপেনার। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় সে বলটি নো-বল ছিল। এরপর শুরু হয় কাঁটাছেঁড়া। দেখা যায় আগের তিনটি বলই ওভারস্টেপিং করেছিলেন স্টোকস। আর তখন থেকেই ওয়ার্নারের ভাগ্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে বোলারদের করা বলগুলো ওভারস্টেপিং না হলে ডেভিড ওয়ার্নার আউট হতে পারতেন পাঁচ বার। ২০১৪ সালে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতীয় পেসার বরুণ অ্যারনের বলে বোল্ড হয়ে বেঁচেছেন নো-বলের কারণে। এরপর ২০১৬ সালে ওয়াহাব রিয়াজের বলে বোল্ড হয়েও বেঁচেছেন। পরের বছর অ্যাশেজে স্যাম কারানের বলে স্টুয়ার্ট ব্রডের হাতে ক্যাচ দিয়েও বাঁচেন তিনি। ২০১৯ সালে নাসিম শাহর বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েও বেঁচে যান ওই একই কারণে।
Comments