মোস্তাফিজের ওই ওভারকেই দায় দিলেন পান্ত

ম্যাচের গতিপথ যে দিকে এগুচ্ছিল তাতে ১৭০ রানের কাছাকাছি একটি লক্ষ্য পাওয়ার আশায় ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু ১৭তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে ২৮ রান নিয়ে নেন দীনেশ কার্তিক।
mustafizur rahman and rishabh pant

ম্যাচের গতিপথ যে দিকে এগুচ্ছিল তাতে ১৭০ রানের কাছাকাছি একটি লক্ষ্য পাওয়ার আশায় ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু ১৭তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে ২৮ রান নিয়ে নেন দীনেশ কার্তিক। দিল্লি অধিনায়ক রিশভ পান্ত স্বাভাবিক কারণে হারের কারণ হিসেবে মোস্তাফিজের ওভারকেই সামনে এনেছেন।

প্রথম ৩ ওভারে আঁটসাঁট বল করে ২০ রান দিয়েছিলেন বাংলাদেশের পেসার। ১৭তম ওভারে করতে আসেন নিজের শেষ ওভার। ওই ওভারের প্রতিটি বল থেকেই বাউন্ডারি মারেন কার্তিক। প্রথম চারটি ছিল আউটসাইড এজে, পরেরটি তাক লাগিয়ে দেওয়া রিভার্স আপার কাটে। দৃষ্টিনন্দন কাভার ড্রাইভে আসে তৃতীয় চায়।

লঙ অন দিয়ে পর পর দুই ছক্কা আসার পর শেষ বলটাতে বাউন্ডারি মেরে ফিফটিক করে ফেলেন কার্তিক। ৪,৪,৪, ৬,৬ ও ৪- আসে মোট ২৮ রান। 

দিল্লি অধিনায়ক জানান লক্ষ্যটা তাদের নাগালের বাইরে চলে যায় ওই ওভারেই, 'মোস্তাফিজের ওই ওভারটা আমাদের জন্য সব বদলে দেয়। আমার মনে হয় পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা বল করতে পারতাম। যেভাবে ডিকে (দীনেশ কার্তিক) ব্যাট করেছেন তাতে আমরা চাপে পড়ে যাই।'

রান তাড়ায় অবশ্য ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে আশা জেগেছিল। তবে তার ৩৮ বলে ৬৬ রানের বিপরীতে ২৪ বলে ১৪ করে মন্থর ইনিংস খেলে দলকে ভোগান মিচেল মার্শ। পান্ত অবশ্য প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা অজি ব্যাটসম্যানকে দায় দিচ্ছেন না, 'ওয়ার্নার দারুণ খেলে আমাদের জন্য জেতার একটা সুযোগ করে দিয়েছিল। মার্শকে দায় দিচ্ছি না, ওর কেবল প্রথম ম্যাচ, একটু জড়তা থাকতে পারে। মাঝের ওভারে আমরা আরও ভাল করতে পারতাম।'

এবারের আইপিএলে ৫ ম্যাচে দিল্লির এটি তৃতীয় হার। পরের রাউন্ডে যেতে হলে বাকি ম্যাচগুলোতে মরিয়া হয়ে খেলার বিকল্প নেই, ভুল শুধরে তার দল সেই কাজ করবে বলে পান্ত আশাবাদী, 'দল হিসেবে ভাল করতে আমাদের কথা বলা দরকার। পরের ম্যাচগুলোতে আমাদের ভুল থেকে শিখতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago