রোহিতের মাইলফলকের দিনে মুম্বাইর টানা পঞ্চম হার

Rohit Sharma & kagiso Rabada
রোহিতকে বিদায় করে রাবাদার উল্লাস। ছবি- আইপিএল ওয়েবসাইট

ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টিতে ১০ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন রোহিত শর্মা, তার অক্কা পেতেও সময় লাগেনি। শুরুতে কয়েক বল ধুঁকলেও দ্রুত সামলে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। কাজ অসমাপ্ত রেখে ফেরেন তিনিও। শেষ পর্যন্ত সূর্যকুমার যাদবের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। ঝড় তুলেও তীরে তরি বেড়াতে পারেননি তিনি। টানা পঞ্চম হারের তিক্ত স্বাদ দিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

বুধবার পুনেতে মুম্বাইকে ১২ রানে হারিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। পঞ্চম ম্যাচে পাঞ্জাবের এটি তৃতীয় নয়। এদিকে এবারের আইপিএলে টানা পঞ্চম ম্যাচেও জয়বিহীন থাকল সফলতম দলটি।

এদিন আগে ব্যাট করে দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও শিখর ধাওয়ানের ব্যাটে ১৯৮ রানের বিশাল পুঁজি পায় পাঞ্জাব। জবাব দিতে নেমে বিদ্যুৎ ঝলক দেখিয়ে নিভে যাওয়া ইনিংসগুলো বড় না হওয়ায় ১৮৬  রানে থামে মুম্বাই।

পাঞ্জাবের জয়ে ৩২ বলে ৫২ করে অবদান মায়াঙ্কের। ৫০ বলে ৭০ করে বড় ভূমিকায় অভিজ্ঞ ধাওয়ান। বল হাতে কাগিসো রাবাদার কথা বলতেই হয়। ৪ ওভারে কেবল ২৯ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট। ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অবশ্য সেরা বোলিং ওডেন স্মিথের।

টানা চার হারে বিপর্যস্ত দলকে দিশা দিয়ে রাতটা স্মরণীয় করে রাখতে পারতেন রোহিত। ১৯৯ রানের লক্ষ্যে নেমে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। তার শুরুর ঝড় হয়নি বড়। রাবাদাকে ছক্কায় উড়িয়ে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দশ হাজার স্পর্শ করেন রোহিত। তার আগে ভারতীয় ছিলেন আর একজনই-বিরাট কোহলি। এরপরই রাবাদার বলে কাটা পড়ে ফিরতে হয় ১৭ বলে ২৮ করা রোহিতকে। ঈশান কিশান তারপর ফিরে যান ৬ বলে ৩ রান করে।

এবিডি ভিলিয়ার্সের কার্বন কপি ব্রেভিসকে ডাকা হয় 'বেবি এবি'। তিনে নামা এই তরুণ প্রথমে ছিলেন জড়সড়ো। টাইমিং মিলছিল না তার। স্ট্রাটেজিক টাইম আউটে তাকে কিছু একটা বোঝান কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে ও শচিন টেন্ডুলকার। এরপরই জ্বলে উঠেন তিনি।

রাহুল চাহারকে এক ওভারে মারেন বিশাল ৪ ছক্কা। বৈভব আরোরাদেরও পেটাতে থাকেন। রানরেটের চাপ মুহুর্তেই নাগালের মধ্যেই নিয়ে আসেন তিনি। যদিও কাজ অসমাপ্ত রেখে ফেরেন এই তরুণ। ওডেন স্মিথের বলে ক্যাচ উঠিয়ে ফেরার আগে ৫ ছক্কা, ৪ বাউন্ডারিতে করেন ২৫ বলে ৪৯ রান।

আরেক পাশে আগ্রাসী তিলক বর্মা (২০ বলে ৩৬) থামেন রানআউটে। এরপর সূর্যকুমার আর কাইরন পোলার্ডই ছিলেন ভরসা। পোলার্ডের ইতি হয় আরেকটি রানআউটে। সূর্যকুমার নায়ক হওয়ার মঞ্চ তৈরিই করে ফেলেছিলেন। রাবাদার বলে একটি মিসটাইমিং থামিয়ে দেয় তার ৩০ বলে ৪৩ রানের ঝড়। বাকি পথে আর সম্ভাবনা ছিল না মুম্বাইর।

এর আগে টস জিতে পাঞ্জাবকে ব্যাট করতে দিয়েছিল মুম্বাই। পাঞ্জবের দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আর ধাওয়ান মিলে তুলেন ঝড়। ৯.৩ ওভার স্থায়ী তাদের ওপেনিং জুটিতে আসে ৯৭ রান। মায়াঙ্ক ফেরার পর দলকে টানেন ধাওয়ান। ১৭তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন তিনি। শেষ দিকে জিতেশ শর্মার ১৫ বলে ৩০ ও শাহরুখ খানের ৬ বলে ১৫ রানের ইনিংস ম্যাচের প্রেক্ষিতে ছিল অনেক কার্যকর।

Comments

The Daily Star  | English

Ishraque alleges political obstruction in DSCC mayoral appointment

Announces establishment of 'Mayor's Cell' to monitor service delivery in the city

34m ago