লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে সাদামাটা মোস্তাফিজ
প্রথম তিন ওভারে ছিলেন জুতসই। একটি উইকেট নেওয়ার সুযোগও এসেছিল। কিন্তু শেষ ওভারে তার বোলিং ফিগার হয়ে গেলে এলোমেলো। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান থাকলেন সাদামাটা।
রোববার মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোস্তাফিজের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১৯৫ রানের বড় পুঁজি পায় লক্ষ্ণৌ। ওই রান পেরিয়ে জিততে পারেনি দিল্লি। শেষ ওভার পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে ১৮৯ রানে থেমে তারা ম্যাচ হারে ৬ রানে।
দিল্লির হয়ে বোলিং শুরু করা মোস্তাফিজ শেষ পর্যন্ত ৪ ওভার বল করে ৩৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
মোস্তাফিজদের হতাশ করে লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ৫১ বলে করেন ৭৭ রান। দিপক হুডার ব্যাট থেকে ৩৪ বলে আসে ৫২ রান/
বল হাতে নিয়ে ইনিংসের একদম প্রথম বলেই চার হজম করেন মোস্তাফিজ। সামলে নিয়ে ওই ওভার থেকে দেন আর কেবল দুই রান।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আবার ফেরানো হয় তাকে। ওই ওভারের প্রথম বলে রাহুল এক রান নিলে দ্বিতীয় বলে দিপক হুডা বল পাঠান বাউন্ডারিতে। চতুর্থ বলে দুই ও শেষ বলে আসে এক রান। মোস্তাফিজের দ্বিতীয় ওভার থেকে বের হয় ৮ রান।
আবার ১৮তম ওভারে এসেই উইকেট পেতে পারতেন। কিন্তু তার বলে মার্কাস স্টয়নিসের তুলে দেওয়া সহজ ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি ললিত যাদব।
প্রথম তিন বলে তিন সিঙ্গেল আসার পর চতুর্থ বলে রিভার্স স্কুপে বাউন্ডারি পাঠান রাহুল। শেষ দুই বল থেকে আসে আর এক রান। ওই ওভারেও ৮ রানই দেন বাংলাদেশের তারকা।
শেষ ওভারের প্রথম বলে আবার ললিতের মিস ফিল্ডিংয়ে দুই রান নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। টানা দুটি ওয়াইডের পর আবার দুই রান দেন বাঁহাতি পেসার। আগের ওভারে জীবন পাওয়া স্টয়নিস মোস্তাফিজের তৃতীয় বল উড়ান ছক্কায়। শেষ দুই বলে আরও দুই রানসহ ওই ওভারে আসে ১৫ রান।
Comments