সাকিবের এক ওভারে ক্রিস্টিয়ানের ৫ ছক্কা

অল্প রান তাড়া হলেও মিরপুরের মন্থর উইকেটে সেটা ঝুঁকিপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়া তাই কৌশল বদলে স্লগ করার জন্য তিন নম্বরে নামিয়ে দিয়েছিল ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানকে। সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে সাকিব আল হাসানের এক ওভারে ৫ ছক্কা মেরে দেন তিনি।
১০৫ রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ক্রিজে আসেন ক্রিস্টিয়ান। ইনিংসের চতুর্থ ও সাকিবের দ্বিতীয় ওভারকে ম্যাচের স্মরণীয় করে ফেলেন তিনি।
প্রথম বলে একটু এগিয়ে এসে লং অন দিয়ে মারেন ছক্কা, পরেরটিতে ওয়াইড লং অন দিয়ে উড়ান আরেক ছয়। তিন নম্বর বল শর্ট অব লেন্থে পেয়ে মিডউইকেট দিয়ে পুল করে মারেন টানা তিন ছয়। চতুর্থ বলটি যায় ডট। পঞ্চম বলেও লং অন দিয়ে উড়ান আরেক ছয়। শেষ বলে মিড উইকেট দিয়ে মারেন পাঁচ নম্বর।

এক ওভারেই ৩০ রান দিয়ে দেন সাকিব। টি-টোয়েন্টিতে এটিও অবশ্য বাংলাদেশের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের নজির নয়। জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল সাকিবের এক ওভার থেকে তিন ছয়, তিন চারে নিয়েছিলেন ৩০ রান। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ডেভিড মিলার তার এক ওভার থেকে নিয়েছিলেন ৩১ রান।
সাকিবকে পিটিয়ে ১৫ বলে ৩৯ করা ক্রিস্টিয়ানকে মোস্তাফিজুর রহমান এসে অবশ্য ফিরিয়েছেন। কিন্তু লো স্কোরিং ম্যাচে তার এই ইনিংসের পরই খেলা মুঠোয় চলে আসে অস্ট্রেলিয়ার। বাকি কাজটা করা তাদের জন্য খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা না। কিন্তু কঠিন করেই কাজটা সারতে হয়েছে অজিদের। ক্রিস্টিয়ান ফেরার পর ১৮ রানের মধ্যে পথ হারাতে বসেছিল তারা। শেষ পর্যন্ত সপ্তম উইকেটে অ্যাস্টন অ্যাগার -অ্যাস্টন টার্নার মিলে ৩৪ রানের জুটিতে খেলা জেতান।
Comments