ধারাভাষ্য থেকে বিদায় নিচ্ছেন হোল্ডিং

খেলা ছেড়েছেন সেই ১৯৮৭ সালে। এরপর থেকে কণ্ঠ আর চিন্তা দিয়ে ক্রিকেটের সঙ্গেই জড়িয়ে ছিলেন এক সময়ের দুর্ধর্ষ পেস বোলার মাইকেল হোল্ডিং। আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গি আর ভরাট কণ্ঠের সেই ক্রিকেটকথক তার দ্বিতীয় ক্যারিয়ারেরও ইতি টানলেন। জানিয়ে দিলেন, চলতি মৌসুমের পর বাকি জীবনটা শুধুই অবসর।
বুধবার রাতে হোল্ডিংয়ের ধারাভাষ্যকার জীবনের সমাপ্তির কথা জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো। ব্রডকাস্টার স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে তিনি চুকিয়ে ফেলেছেন ২০ বছরের সম্পর্কের। এই মৌসুমের ম্যাচগুলোতেই শেষবারের মতো ধারাভাষ্য দিতে দেখা যাবে তাকে।
অবশ্য করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরই শেষের আভাস দিয়েছিলেন 'হুইস্পারিং ডেথ' নামে খেলোয়াড়ি জীবনে পরিচিতি পাওয়া এই ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব, '২০২০ সাল পেরিয়ে গেলে আর কতদিন ধারাভাষ্য দিতে পারব নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। এই বয়সে আর বেশি দূর যাওয়া সম্ভব না। আমি এখন ৬৬- ৩৬ ৪৬ বা ৫৬ বছরের কেউ নই।'
নিজের বিদায়ের আভাস স্কাইকেও আগেভাগেই দিয়ে রেখেছিলেন তিনি, 'স্কাই আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে হুট করে চলে যেতে পারি না। তবে তাদের বলেছি এক বছরের বেশি চুক্তিতে থাকব না।'
২০২০ সালে বলা সেই কথামতই এক বছর পর সমাপ্তি করে দিলেন ধারাভাষ্য।
হোল্ডিংয়ের ধারাভাষ্য ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণার কথা ছড়িয়ে পড়লে ক্রিকেট ব্যক্তিত্বদের তা স্পর্শ করে গেছে। স্বদেশী ইয়ান বিশপ টুইট করে লিখেছেন, 'প্রথম দিন থেকেই আমাকে উৎসাহ দিয়েছে। অনেক স্নেহ করতেন। আমি ভুল করলেও যত্নের সঙ্গে দেখতেন। তার মতন গুরু ও বন্ধু পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার।'
সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন জানিয়েছেন নানাভাবে হোল্ডিংয়ের অভাব টের পাবেন তিনি, 'কিংবদন্তি একজন বোলার, অসাধারণ ধারাভাষ্যকার, একজন আন্দোলনকারী। সবচেয়ে বড় কথা উনি অনেক উঁচু মানের মানুষ। তাকে কমেন্ট্রিতে মিস করব। অবসর জীবন আনন্দে কাটুক, মাইকি।'
টুইট করে হোল্ডিংয়ের প্রতি শুভকামনা জানাচ্ছেন বর্তমান ক্রিকেটাররাও।
মূলত টেস্ট ম্যাচেই বেশি ধারাভাষ্য দিতে দেখা যেত হোল্ডিংকে। অর্থের অনেক হাতছানি থাকলেও টি-টোয়েন্টি ফ্রেঞ্চাইজি ক্রিকেটে ধারাভাষ্যের দিকে আগ্রহ দেখাননি এই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি।
Comments