ইউরো-বিশ্বকাপ আয়োজনের ভাবনায় ইতালি
২০২৮ সালের ইউরো কিংবা ২০৩০ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক হতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি বিবেচনা করছে ইতালি। তবে এই লক্ষ্য অর্জনে সফল হতে স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কার ও মানোন্নয়ন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের (এফআইজিসি) প্রধান গ্যাব্রিয়েলে গ্রাভিনা।
বিশ্বকাপ ফুটবলের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৩০ সালে। আগামী ২০৩০ সালে তা পূরণ করবে শতবর্ষ। এমন উপলক্ষ থাকায় বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়া নিয়ে কঠিন লড়াইয়ের জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পক্ষ যৌথভাবে স্বাগতিক হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, চিলি ও প্যারাগুয়ে- এ চারটি দেশ একত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা আগেই ঘোষণা দিয়েছে। স্পেন আর পর্তুগালও যৌথভাবে ইচ্ছা পোষণ করেছে। এমনকি সম্প্রতি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনায় আগ্রহ দেখিয়েছেন। সেক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের চারটি দেশ (ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ড) ও আয়ারল্যান্ড মিলে স্বাগতিক হতে লড়াইয়ে নামতে পারে।
কয়েকদিন আগে পর্দা নামা ইউরোর অন্যতম আয়োজক ছিল ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জেতা ইতালি। তবে ১৯৯০ সালের পর এককভাবে ফুটবলের কোনো বড় আসর আয়োজন করেনি তারা। তাই নিজেদের যোগ্য প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করতে দ্রুত স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজে নেমে পড়তে চায় তারা।
এফআইজিসি সভাপতি গ্রাভিনা বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘২০২৮ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ও ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনে ইতালির প্রার্থিতার বিষয়টি আমরা মূল্যায়ন করে দেখব। প্রথম ইউরোর জন্য চেষ্টা করা যাক। অন্যটি নিয়ে পরে ভাবব আমরা। আমাদের অবশ্যই স্টেডিয়ামগুলোর অবস্থার উন্নতি করতে হবে। কারণ, যদি আমরা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ শুরু না করি, তবে আমরা কখনোই এ জাতীয় বড় আসর আয়োজনের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম হব না।’
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরোর ফাইনালে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলাও শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়। এরপর টাইব্রেকারে গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমার বীরত্বে ৫৩ বছর পর ইউরোপের সেরা হয় আজ্জুরিরা।
Comments