উড়ন্ত জয়ের দিনেও চাপে ছিল জুভেন্টাস

হোক না অ্যাওয়ে ম্যাচ। কিন্তু প্রতিপক্ষ তো সুইডেনের ক্লাব মালমো। ঐতিহ্য ও শক্তি-সামর্থ্য দুই বিচারেই তাদের চেয়ে ঢের এগিয়ে জুভেন্টাস। কিন্তু সেই দলটির বিপক্ষেই কি-না প্রচণ্ড চাপে ছিল দলটি! ম্যাচের ফলাফলও এমন কিছুর ইঙ্গিত দেয় না।
পরিস্থিতিটা আসলে পাল্টে গেছে সাম্প্রতিক সময়ের ফলাফলে। মৌসুমের শুরুতেই দলের সেরা তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে হারায় জুভেন্টাস। আর তাকে ছাড়া সিরিআর শুরুটা বিবর্ণ। প্রথম তিন ম্যাচ থেকে মাত্র ১টি পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছে দলটি। আর এ কারণেই বেশ চাপে ছিল দলটি। ম্যাচ শেষে কোনো রাখঢাক না রেখে তা স্বীকার করে নিয়েছেন জুভেন্টাস কোচ মাসসিমিলিয়ানো আলেগ্রি।
অথচ গত মৌসুমের আগের টানা নয় মৌসুমেও স্কুদিত্তো জিতেছে জুভেন্টাস। কিন্তু গত মৌসুম থেকেই যেন সব কিছু বদলে যেতে থাকে। দলের এমন পরিস্থিতিতে রোনালদোও ক্লাব ছাড়েন। যার অভাব পূরণে নতুন কোনো ভালো সাইনিংও করাতে পারেনি দলটি।
তবে আগের দিন মৌসুমের প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে জুভেন্টাস। তাও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে। মালমোর বিপক্ষে বড় জয়ই তুলে নিয়েছে তারা। আলেক্স সান্দ্রো, পাওলো দিবালা ও আলভারো মোরাতার গোলে ৩-০ ব্যবধানে জয় পায় দলটি। তাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে জুভ শিবিরে।
ম্যাচে শেষে চাপের কথা স্বীকার করে কোচ আলেগ্রি বলেন, 'যখন আপনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলবেন তখন সবসময়ই কিছু টেনশন তৈরি হয়। ঘরের বাইরে খেলতে গেলে তো। আর সিরি আয় টানা তিন ম্যাচে ভালো খেলতে না পারলে চাপটা অনেকই বেড়ে যায়।'
তবে দারুণ একটি জয়ের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছেন এ কোচ, 'এটা দারুণ একটি জয়। ছেলেরা টেকনিক্যালি খুব ভালো খেলেছে। প্রথমার্ধে আমরা কিছু পরিস্থিতিতে আরও ভালো করতে পারতাম। আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।'
গত ২ মার্চের পর এটাই প্রথম ম্যাচ যেখানে কোনো গোল হজম করেনি জুভেন্টাস। নিজেদের ফিরে আসার এটা একটা ইঙ্গিত বলে জানান আলেগ্রি, 'এটা একটা ইঙ্গিত। মধ্য বিরতিতে আমি ছেলেদের বলেছি কোনো গোল খাওয়া যাবে না। এটা কিছুটা দুশ্চিন্তার ছিল। তবে সেজনি ভালো করেছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জয়। অন্যথায় আমাদের ভোগান্তি আরও বড় হতে পারতো।'
Comments