কিরগিজস্তানের কাছেও হারল বাংলাদেশ

ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৮৭ ধাপ এগিয়ে থাকা কিরগিজস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ে পেরে উঠল না বাংলাদেশ। তিন জাতি কাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ নিল জেমি ডের শিষ্যরা।
মঙ্গলবার রাজধানী বিশকেকের দোলন ওমারজাকভ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফিলিস্তিনের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
কিরগিজস্তানের হয়ে গোল করেন এলদার মোলদোজুনুসভ, আলিমারদন শুকুরভ, তুরসুনালি রুস্তামভ ও বখতিয়ার দুইশোবেকভ। বাংলাদেশের হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন মাহবুবুর রহমান সুফিল।
একাদশে চারটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। শহিদুল আলমের পরিবর্তে গোলপোস্ট সামলাতে দেখা যায় আনিসুর রহমান জিকোকে। রক্ষণভাগে রেজাউল করিমের জায়গায় রিয়াদুল হাসান রাফি ও ফরোয়ার্ডে সাদ উদ্দিনের জায়গায় সুফিল নামেন। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে আগের ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অভিষেকের স্বাদ পাওয়া মিডফিল্ডার রাহবার ওয়াহেদ খান প্রথমবারের মতো খেলেন মূল একাদশে। তার জন্য জায়গা ছাড়তে হয় সোহেল রানাকে।
শুরু থেকেই বাংলাদেশের রক্ষণে ভীতি ছড়ানো কিরগিজস্তান এগিয়ে যায় ম্যাচের দশম মিনিটে। মাঝমাঠের সামনে থেকে শুকুরভের ফ্রি-কিকে ডি-বক্সের ভেতর থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন মোলদোজুনুসভ। ছয় মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত তারা। আক্রমণ ঠেকাতে গোলপোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। পরে গোললাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ।
৩৯তম মিনিটে ফের গোলের উল্লাসে মাতে কিরগিজস্তান। ম্যাচে পুরোপুরি চালকের আসনে বসে পড়ে তারা। বাম প্রান্ত দিয়ে দ্রুতগতির পাল্টা আক্রমণে কাইরাত ইজাকভের কাটব্যাকে লক্ষ্যভেদ করেন শুকুরভ।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই আবার গোল হজম করে বাংলাদেশ। ডি-বক্সের বাম দিক থেকে গুলজিগিত আলিকুলভের ক্রসে জিকোকে পরাস্ত করেন অধিনায়ক রুস্তামভ। তিন মিনিট পর অবশ্য ম্যাচে ফেরার রসদ পায় বাংলাদেশ। বদলি নামা রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো ঠিকমতো বিপদমুক্ত করতে পারেনি কিরগিজস্তানের রক্ষণভাগ। আলগা বল পেয়ে ডি-বক্সের ভেতর থেকে কাছের পোস্টে বল পাঠান সুফিল।
প্রথমার্ধের মতো বিরতির পরও বেশ কিছু দারুণ সেভ দেন গোলরক্ষক জিকো। কিন্তু কিরগিজস্তানের মুহুর্মুহু আক্রমণ সামলে হারের ব্যবধান কম রাখা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। ৮৯তম মিনিটে সতীর্থের কর্নার থেকে ম্যাচের শেষ গোলটি করেন দুইশোবেকভ।
Comments