টানেলে যাওয়ার পথে ফের হাতাহাতি, নিয়ন্ত্রণে পুলিশ

ফিল ফোডেনকে করা একটি ট্যাকলকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে দুই দলের মাঝে উত্তেজনা। ম্যাচ তখন প্রায় শেষ প্রান্তে। এক দফা হাতাহাতি হয়ে যায় মাঠেই। শেষ পর্যন্ত লাল কার্ডের দেখিয়ে বহিষ্কার করার মতো কড়া সিদ্ধান্তে রেফারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও আদতে তা শেষ হয়নি। টানেলে ফের আরেক দফা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। শেষ পর্যন্ত তা নিয়ন্ত্রণ করতে আসতে হয় পুলিশকে।

ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র করেছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। ফলে প্রথম লেগে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে পাওয়া ১-০ গোলের জয়ই সেমি-ফাইনালের টিকেট কেটে দেয় পেপ গার্দিওলার দলকে। মূলত দুই লেগ মিলিয়েও এমন কাছাকাছি ফলাফলের কারণেই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। একটি গোলই বদলে দিতে পারতো ম্যাচের ভাগ্য।

মাঠের মধ্যেই প্রায় চার মিনিট স্থায়ী সে বিবাদটি মেটাতে ফেলিপিকে লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন ফেরারি। এছাড়া স্তিফান সাভিচ ও নাথান আকেকে দেখানো হয় হলুদ কার্ড। তবে ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমে ফেরার পথে তাদের আলাদা করতে না পাড়ায় আরেক দফা ঝগড়া হয়। যাওয়ার পথে জ্যাক গ্রিলিসের সঙ্গে সাভিচের তর্ক দিয়ে শুরু। এরপর দুই দলের বেঞ্চের খেলোয়াড়রাও জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে সিটির খেলোয়াড়দের দিকে কিছু একটা ছুঁড়ে মারেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার সিমে ভ্রাসাইকো। এ কাণ্ডে উত্তেজনা আরও বাড়ে। পড়ে পুলিশ এসে দুই দলের খেলোয়াড়দের আলাদা করেন।

ঘটনার শুরু কীভাবে এবং কি হয়েছে পরে জানতে চাওয়া হয় ম্যানচেস্টার সিটির রদ্রির কাছে, যিনি এক সময় খেলেছেন অ্যাতলেতিকোর হয়েও। মুভিস্তারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ স্প্যানিশ  বলেছেন, 'এখানে অনেক আবেগ ছিল এবং ফলাফল খুব কাছাকাছি ছিল। কি ঘটেছে আমি সত্যিই জানি না। একটু হাতাহাতি হয়েছে। আমি পালানোর চেষ্টা করেছি। তারা আমার সাবেক সতীর্থ এবং এই ধরনের জিনিসগুলো সুখকর নয়।'

আরেক স্প্যানিশ তারকা আইমারিক লাপোর্তে বলেছেন, 'এটা সত্য যে এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আসা সবসময় অপ্রীতিকর যা একটি ঝগড়ার মধ্যে শেষ হয়। কিন্তু এটা খুবই নগণ্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা খুব কম হলেও অনেক বেশি আলোচনার সৃষ্টি করে। তবে এটা ঠিক তারা (অ্যাতলেতিকো) আমাদের চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে।'

ঘটনাটি অ্যাতলেতিকোর পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে তাদের গোলরক্ষক জন ওবলাক বলেন, 'আমি কিছুই দেখিনি কারণ আমি অন্য প্রান্তে লোকজনদের সঙ্গে ধন্যবাদ দিচ্ছিলাম। তবে স্ট্যান্ডে সবার মেজাজ ছিল অবিশ্বাস্য।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt employees to get dearness allowance

The announcement may come in next budget

1h ago