নিউক্যাসলকে উড়িয়ে দিয়েই শীর্ষে ফিরল ম্যানসিটি

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ধরে রাখার দৌড়ে ঠিক যেন ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিল লিভারপুল। তবে আগের দিন টটেনহ্যাম হটস্পার্সের সঙ্গে অলরেডরা ড্র করায় ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার বড় সুযোগ ছিল ম্যানচেস্টার সিটির। আর সে সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে দলটি। নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে উড়িয়ে দিয়েই শীর্ষে ফিরেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রোববার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে ৫-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। দলের হয়ে জোড়া করেছেন রহিম স্টার্লিং। এছাড়া একটি করে গোল করেছেন আইমারিক লাপোর্তে, রদ্রিগো ও ফিল ফোডেন।
এ জয়ে ৩৫ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে ফিরল সিটি। সমান ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট লিভারপুলের। সিটিজেনরা এগিয়ে গেল পরিষ্কার তিন পয়েন্টের ব্যবধানে। একই সঙ্গে গোলের ব্যবধানও বাড়াল তারা। কোনো মতে একটি ম্যাচে পা হড়কালেও শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা টিকে থাকবে তাদের। একই সঙ্গে ফিকে হয়ে এলো লিভারপুলের কোয়াড্রপল জয়ের আশা।
অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতো শেষ সময়ের ঝড়ে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেছে সিটি। চলতি মৌসুমে শিরোপাশূন্য থাকতে না চাইলে প্রিমিয়ার লিগই শেষ ভরসা। এদিন অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়েই শিরোপা ধরে রাখার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল তারা।
এদিন ম্যাচের প্রায় একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ রেখেই খেলতে থাকে সিটি। ৭১ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে ২১টি শট নেয় দলটি। যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ৭টি শটের তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে সফরকারীরা।
অবশ্য গোল করার মতো প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল নিউক্যাসলই। ফাঁকায় থেকে গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল হেড নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ক্রিস উড। এরপর বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও গোল পায়নি সিটি। তবে ১৯তম মিনিটে এগয়ে যায় স্বাগতিকরা। ইকাই গুন্দোগানের বাড়ানো বল থেকে হেড স্টার্লিংকে দেন কেনসেলো। আরও একটি দারুণ হেডে বল জালে পাঠান এ ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
২৪তম মিনিটে ক্রিস উড বল জালে পাঠালেও নিউক্যাসলের জামাল ব্রুনো গিমারেস অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল। ৩৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সিটি। গুন্দোগানের ভলি ফেরাতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলেন গোলরক্ষক মার্তিন দুব্রাভকা। আলগা বলে রুবেন দিয়াসের শট তার গায়ে লেগে ফিরে আলসেও লাপোর্তে ঠিকই বল জালে পাঠান।
৬১তম মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে দারুণ এক হেডে তৃতীয় গোলটি করেন রদ্রিগো। এরপর ব্যবধান কমাতে চাপ বাড়িয়েও জালের দেখা পায়নি নিউক্যাসল। ৮২তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন কালাম উইলসন।
৯০তম মিনিটে জ্যাক গ্রিলিশের পাস থেকে নেওয়া আলেকজান্ডার জিনচেঙ্কোর শট দিক বদলে জালে পাঠান ফোডেন। যোগ করা সময়ে গ্রিলিশের পাস থেকে দারুণ এক কোণাকোণি শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন স্টার্লিং।
Comments