পিএসজির জয়ে উজ্জ্বল নেইমার-এমবাপে

পেশির চোটে পড়া লিওনেল মেসি খেলতে পারেননি। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি পিএসজির। আর্জেন্টাইন তারকার অনুপস্থিতিতে জ্বলে উঠলেন নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপে। তাদের নৈপুণ্যে বোর্দোকে হারিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করল প্যারিসিয়ানরা।
শনিবার রাতে ফরাসি লিগ ওয়ানের ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-২ গোলে জিতেছে মরিসিও পচেত্তিনোর দল। প্রথমার্ধে জোড়া গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। তার দুটি গোলেই অবদান রাখা ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান আরও বাড়ান। শেষদিকে বোর্দোর পক্ষে গোল শোধ করেন আলবার্থ এলিস ও এমবায়ে নিয়াং।
পুরো ম্যাচে বল দখলে পিএসজি প্রাধান্য দেখালেও আক্রমণে আধিপত্য করে বোর্দো। স্বাগতিকদের নেওয়া ১৮টি শটের ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, সফরকারীরা পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে গোলমুখে নয়টি শট নিয়ে। বোর্দোর গোলরক্ষক বেনোয়াঁ কস্তিলের যেখানে সেভ করতে হয় দুটি, সেখানে পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাস সেভ দেন পাঁচটি।
লিগে গত সপ্তাহে লিলের বিপক্ষে ম্যাচের একাদশে ছয়টি পরিবর্তন আনেন পিএসজি কোচ পচেত্তিনো। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানোর কারণে ফেরেন নাভাস। রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী মেসির পাশাপাশি খেলেননি তার জাতীয় দলের সতীর্থ আনহেল দি মারিয়াও। তাদের পরিবর্তে জায়গা পান এমবাপে ও ইউলিয়ান ড্রাক্সলার।
২৬তম মিনিটে এমবাপের ক্রসে ডি-বক্সের ভেতরে ঢুকে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন নেইমার। ৪৩তম মিনিটে ফের তাদের যুগলবন্দিতে উল্লাসে মাতে পিএসজি। এমবাপের ব্যাকহিলে বল পেয়ে অনায়াসে বোর্দোর জাল কাঁপান নেইমার। লিগে আট ম্যাচে তার গোল বেড়ে হলো তিনটি।
৬৩তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন এমবাপে। জর্জিনিও ভাইনালডামের সুযোগ থাকলেও নিঃস্বার্থভাবে পাস দেন সতীর্থকে। ফাঁকা জালে বল পাঠানোর বাকি কাজটা সারেন এমবাপে। চলমান আসরে ১২ ম্যাচে এটি তার ষষ্ঠ গোল।
৭৮তম মিনিটে এলিসের গোলে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে নিয়াং করেন দলটির পরের গোলটি। তবে সমতায় ফেরার মতো সময় এরপর আর ছিল না তাদের হাতে।
১৩ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষে রয়েছে পিএসজি। ১১টি জয়ের বিপরীতে তারা হেরেছে একটি ম্যাচে। বাকিটিতে করেছে ড্র। সমান ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকা লঁস আছে দুইয়ে।
Comments