পিছিয়ে পড়েও জিতল রিয়াল, বার্সেলোনার বিদায়

কোপা দেল রে'র শেষ ষোলোর ম্যাচের আগের দিন ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে মাঠে নেমেছিল স্পেনের দুই জায়ান্ট দল রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। দুটি ম্যাচই গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। এলচের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও শেষ দিকের জোড়া গোলে জয় পায় রিয়ালই। অন্যদিকে অ্যাতলেতিক বিলবাওর বিপক্ষে দুই দফা পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরলেও অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বার্সেলোনাকে।
এলচের মাঠে বৃহস্পতিবার রাতে এলচেকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে রিয়াল। আর বিলবাওর মাঠে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে বার্সেলোনা।
এদিন এলচের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেও নির্ধারিত সময়ে কোনো গোল আদায় করতে পারেনি রিয়াল। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে ১০২তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় দলটি। এলচের তেতে মরেন্তেকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মার্সেলো। এর পরের মিনিটে পিছিয়েও পড়ে তারা। ফ্রি কিক থেকে গঞ্জালো ভের্দুর শট দেওয়ালে প্রতিহত হলেও ফিরতি শটে কাসেমিরো পায়ে লেগে দিক বদলে জালে প্রবেশ করে।
এক খেলোয়াড় ও এক গোলে পিছিয়ে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় রিয়াল। পাঁচ মিনিটেই সমতায় ফেরে দলটি। কাসেমিরোর পাস থেকে জোরালো শট নেন বদলি খেলোয়াড় দানি সেবাইয়োস। বল ধরতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এলচে গোলরক্ষক ওয়ার্নার, তবে সামনে দাঁড়ানো আরেক বদলি খেলোয়াড় ইসকো আলতো টোকায় দিক পাল্টে দিলে কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের।
১১৫তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি পায় রিয়াল। দাভিদ আলাবার পাস পেয়ে ঢুকে পড়েন বদলি খেলোয়াড় এডেন হ্যাজার্ড। বল ঠেকাতে এগিয়ে আসেন গোলরক্ষক। তাকে কাটিয়ে দূর থেকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ বেলজিয়াম ফরোয়ার্ড। পিছিয়ে পড়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি এলচে। উল্টো শেষ দিকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পেরে মিয়া।

অপর ম্যাচে বল দখলে বার্সেলোনা এগিয়ে থাকলেও ম্যাচের আধিপত্য ছিল বিলবাওরই। মোট ১৯টি শট নেয় তারা, যার সাতটি ছিল লক্ষ্যে। আর সাত শটের কেবল তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে বার্সেলোনা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে পিছিয়েও তারা। সতীর্থের থ্রু পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ দিকে ইনাকি মুনিয়াইনকে পাস দেন নিকো উইলিয়ামস। বল ধরে উঁচু কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
২০তম মিনিটেই ম্যাচে ফেরে বার্সেলোনা। দারুণ এক গোলে সমতা টানেন ফেরান তোরেস। সের্জিও বুসকেতসের পাস থেকে ডি-বক্সের বাঁ প্রান্তে এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে নিখুঁত এক কোণাকোণি শটে বল জালে পাঠান এ তরুণ। বার্সেলোনার জার্সিতে এটাই তোরেসের প্রথম গোল।
৮৬তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় বিলবাও। ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন আলেক্স। বল গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনের গায়ে লেগে চলে আসে পোস্টের অন্য পাশে। জেরার্দ পিকের চ্যালেঞ্জে ইনিগো মার্তিনেস শট নিতে না পারলেও বল তার পায়ে লেগে গোললাইন পেরিয়ে গেলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে ফের সমতায় ফেরে বার্সা। ডি-বক্সের ডান প্রান্ত থেকে বল বাড়ান দানি আলভেস। প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন পেদ্রি।
অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ালে প্রথম ভাগের যোগ করা সময়ে মুনিয়াইনের সফল স্পট কিকে আবারও এগিয়ে যায় বিলবাও। ডি-বক্সে নিকো উইলিয়ামসের শটে বল আলবার হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টিটির বাঁশি বাজান রেফারি। শেষ দিকে বার্সেলোনা সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে খেললেও জমাট রক্ষণে তাদের আটকে দেয় বিলবাও। ফলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি।
Comments