'ফাইনালে ওঠার কোনো অধিকার থাকতে পারে না রিয়ালের'

ছবি: টুইটার

১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ট্রেবল (উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ) জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পিটার স্মাইকেল। পরে রেড ডেভিলদের শহর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ২০০২-০৩ মৌসুমে ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানেন তিনি। তবে ডেনমার্কের কিংবদন্তি গোলরক্ষক স্মাইকেল রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠা নিয়ে যা বলেছেন, তাতে বেজায় ক্ষিপ্ত হতে পারেন দলটির ভক্ত-সমর্থকরা।

গত বুধবার রাতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ম্যান সিটিকে ৩-১ গোলে হারায় রিয়াল। প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ৪-৩ গোলে হারলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৫ ব্যবধানে অগ্রগামিতায় ফাইনালে নাম লেখায় তারা। অথচ বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ৮৯তম মিনিট পর্যন্তও কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা পিছিয়ে ছিল ১-০ গোলে। পরপর দুই মিনিটে রদ্রিগোর জোড়া গোলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এরপর ৯৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে সিটিজেনদের জাল কাঁপিয়ে লস ব্লাঙ্কোসদের উল্লাসে মাতান করিম বেনজেমা।

রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের অবিশ্বাস্য এক গল্প লিখলেও রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মেনে নিতে পারছেন না স্মাইকেল। ৫৮ বছর বয়সী সাবেক তারকা আমেরিকান গণমাধ্যম সিবিএস স্পোর্টসকে বলেছেন, 'রিয়াল মাদ্রিদের ফাইনালে ওঠার কোনো অধিকার থাকতে পারে না। দুটি ম্যাচেই তারা ছিল বাজে দল, বিস্তর ব্যবধানে।'

ছবি: টুইটার

ঘরের মাঠে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও পিছিয়ে ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সফলতম ক্লাব রিয়াল। ৪৪ শতাংশ সময়ে বল পায়ে রেখে ম্যান সিটির গোলমুখে তারা নেয় ১৪টি শট। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল কেবল পাঁচটি। অন্যদিকে, পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের ১৫টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল দশটি। নিজের আগের মন্তব্যের ব্যাখ্যায় স্মাইকেল জানিয়েছেন, রিয়াল যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও শেষদিকে যা করেছে, তাতেই সফলতা পেয়েছে, '৯০তম মিনিটে (লক্ষ্যে রাখা) প্রথম সুযোগ থেকেই তারা গোল করেছে, দ্বিতীয় গোল করেছে দ্বিতীয় সুযোগ থেকে এবং তৃতীয় গোল তৃতীয় সুযোগ থেকে।'

বেনজেমা-রদ্রিগোদের শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে জায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রে বার্নাব্যুতে থাকা রিয়াল সমর্থকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখছেন স্মাইকেল, 'ম্যানচেস্টার সিটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে একটি স্টেডিয়াম কীভাবে "দ্বাদশ খেলোয়াড়" হয়ে উঠতে পারে তা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

68.45% students pass SSC, equivalent exams

This marks a 14.59 percentage point drop from last year

Now