ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

কমলাপুরের বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামকে আলাদা করেই মানে রাখবে আবাহনী লিমিটেড। এক মাসও হয়নি এই মাঠ থেকে স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতে নিয়েছিল তারা। এবার তারা জিতে নিল ফেডারেশন কাপের শিরোপাও। অথচ গত তিন বছর শিরোপা শূন্য দলটি। রোববার বসুন্ধরা গ্রুপ ফেডারেশন কাপের ফাইনালে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে দলটি।
কমলাপুরে এদিন বসুন্ধরা গ্রুপ ফেডারেশন কাপের ফাইনালে রহমতগঞ্জকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দানিয়েল কলিনদ্রেস আবাহনী এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান রাকিব হোসেন। দ্বিতীয়ার্ধে রহমতগঞ্জের হয়ে একমাত্র গোলটি করে ব্যবধান কমান ফিলিপ আজদাহ।
চার বছর পর ফেডারেশন কাপের শিরোপা ঘরে তুলল আবাহনী। এ আসরে এটা তাদের রেকর্ড ১২তম শিরোপা।
এদিন ম্যাচে নামার আগেই ধাক্কা খায় আবাহনী। মিডফিল্ডার রাফায়েল অগুস্তো ও ফরোয়ার্ড দরিয়েলতনকে ছাড়া খেলতে নামে দলটি। কিন্তু তাদের অনুপস্থিতি টের পেলেও বড় ক্ষতি হয়নি দলটির। জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
তবে ম্যাচের ১২তম মিনিটে গোল খেতে পারতো আবাহনী। ডি-বক্সের বাইরে বেরিয়ে আসা আবাহনী গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের মাথার উপর দিয়ে শট নিয়েছিলেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। তবে অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এরপর কিছুক্ষণ পর আবাহনীর ত্রাতা গোলরক্ষক সোহেল। সানডের পাস থেকে ঘানার ফরোয়ার্ড ফিলিপ আদজাহর শট দারুণ দক্ষতায় পা দিয়ে ঠেকান এ গোলরক্ষক। ধারার বিপরীতে ২৮তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিল আবাহনী। জুয়েল রানার হেড থেকে ছয় গজের বক্সের ভেতরে ফাঁকায় পেয়েও অবিশ্বাস্যভাবে বাইরে মারেন নাবীব নেওয়াজ জীবন।
৪৪তম মিনিটে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে বল নিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সানডের কোণাকুণি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। উল্টো যোগ করা সময়ে লিড পেয়ে যায় আবাহনী। রাকিব হোসেনের পাস থেকে ডি-বক্সের বাইরে থেকে কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড দানিয়েল কলিনদ্রেসের জাল খুঁজে পেলে এগিয়ে যায় আকাশী-নীলরা।
এগিয়ে গিয়ে উজ্জীবিত আবাহনী দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধারা আরও বাড়ায়। ৪৯তম মিনিটে কলিনদ্রেসের কোনাকুনি ভলি অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। দুই মিনিট পর তার আরও একটি প্রচেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৬৪তম মিনিটে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন নুরুল নাইম ফয়সাল। রহমতগঞ্জ রাকিবুল হাসান তুষার ফিস্ট করলে বক্সে পেয়ে যান রাকিব। একটু এগিয়ে নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ফরোয়ার্ড।
ছয় মিনিট পর ব্যবধান কমায় রহমতগঞ্জ। শাহরিয়ার বাপ্পীর থ্রু পাস ধরে ডিফেন্ডার মামুন মিয়াকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন আজাহ। এরপরও সুযোগ ছিল দুই দলের। তবে আর গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
Comments