বার্সেলোনার কষ্টার্জিত জয়
শেষ কবে এমনটা দেখেছে তা হয়তো বলতে পারবেন না বার্সেলোনার পার সমর্থকরাও। আগের দিন বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল রিয়াল সোসিয়েদাদেরই বেশি। যেখানে প্রতিপক্ষের কাছে উড়ে গেলেও বল দখলের ক্ষেত্রে ঠিকই এগিয়ে থাকে বার্সেলোনা। তবে এদিন মাঠে ভিন্নরূপ দেখা গেলেও কষ্টার্জিত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা।
রিয়াল অ্যারেনায় বৃহস্পতিবার রাতে লা লিগার ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংয়ের কাছ থেকে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারের পর জয় পেল দলটি। অন্যদিকে সাত ম্যাচ পর ঘরের মাঠে গোল হজম করে সোসিয়েদাদ।
ম্যাচের ওই গোলটি ছাড়া আর একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি বার্সা। যদিও ৪৪ শতাংশ বলের দখল রেখে মোট ১১টি শট নিয়েছিল দলটি। অন্যদিকে ৮টি শট নিয়ে ৫টি শট লক্ষ্যে রাখে সোসিয়েদাদ। দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করেও তার একটিও কাজে লাগাতে না পারার কারণেই হারতে হয় স্বাগতিকদের।
তবে গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনের ভুলে চতুর্থ মিনিটে বিপদে পড়তে পারতো বার্সেলোনা। সতীর্থের ব্যাকপাস কিছুটা সময় নিয়ে মারতে গিয়ে বিপদ ডেকে এনেছিলেন প্রায়। তার শট অ্যালেক্সান্ডার ইসাকের পায়ে লেগে পোস্টের বাইরে চলে যায়।
তবে একাদশ মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। জর্দি আলবার ক্রস উসমান দেম্বেলের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। আলগা বল পেয়ে ফেরান তোরেসের উদ্দেশ্যে বাড়ান গাভি। বুক দিয়ে নামিয়ে অবামেয়াংয়ের উদ্দেশ্যে ক্রস বাড়ান এ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন গ্যাবনের এ স্ট্রাইকার। লা লিগায় ১১ ম্যাচে অবামেয়াংয়ের গোল হলো ৯টি।
২৮তম মিনিটে ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। তবে বিরতির ঠিক আগে সমতায় ফিরতে পারতো স্বাগতিকরা। সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ইসাক। অ্যালেক্সান্ডার সরলথের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়েও বাইরে মারেন এই সুইডিশ ফরোয়ার্ড।
সুযোগ ছিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও। আদনান ইয়ানুজাইয়ের পাস অনেকটা ফাঁকায় পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সরলথ। ৫৮তম মিনিটে দুরূহ কোন থেকে নেওয়ার তার শট পা দিয়ে ঠেকান বার্সা গোলরক্ষক। ৬৯তম মিনিটে ইয়ানুজাইয়ের ক্রস লক্ষ্যের দিকেই যাচ্ছিল। শেষমুহুর্তে ঝাঁপিয়ে ঠেকান টের স্টেগেন।
দুই মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল বার্সারও। তোরেসের কাছ থেকে ফাঁকায় বল পেয়েও বাইরে মারেন গাভি। শেষ দিকে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে সোসিয়েদাদ। তবে আর গোল না হলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। স্বস্তির জয় পায় বার্সা।
৩২ ম্যাচে ১৮ জয় ও ৯ ড্রয়ে বার্সেলোনার সংগ্রহ ৬৩ পয়েন্ট। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে আছে সোসিয়েদাদ। ৩৩ ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।
Comments