ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে ফাইনালে লিভারপুল

প্রথমার্ধে অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়ে দুটি গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল ভিয়ারিয়াল। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে সমতায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচও জিতে নেয় তারা। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের টিকিট কাটল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
স্তাদিও দি লা কেরামেকায় মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ভিয়ারিয়ালকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে লিভারপুল। প্রথম লেগে ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতেছিল দলটি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনাল নিশ্চিত করল অলরেডরা।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই বোলায়ে দিয়া গোল করে এগিয়ে দেওয়ার পর প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ায় ফ্রান্সিস কোকেলিন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ১২ মিনিটের মধ্যে লিভারপুলের তিনটি গোল করেন ফাবিনহো, লুইস দিয়াস ও সাদিও মানে।
এদিন ম্যাচের দুই অর্ধে দুটি ভিন্ন চিত্র দেখে ফুটবল বিশ্ব। প্রথমার্ধের নিয়ন্ত্রণ ছিল স্বাগতিকদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ইংলিশ দলটি স্বাগতিকদের পাত্তাই দেয়নি। প্রথমার্ধে ৫টি শটের ২টি লক্ষ্যে রাখে ভিয়ারিয়াল। এ সময় লিভারপুল শট নেয় দুটি। আর দ্বিতীয়ার্ধে ১৩টি শট নিয়ে ৫টি লক্ষ্যে রাখে তারা। অন্যদিকে এ অর্ধে কোনো শটই নিতে পারেনি স্বাগতিকরা।
এদিন ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় ভিয়ারিয়াল। এতিয়েন কেপুর বাড়ান বল একেবারে ফাঁকায় লক্ষ্যভেদ করেন দিয়া। ৪১তম মিনিটে দ্বিগুণ করে ফেলে ভিয়ারিয়াল। নিজেদের অর্ধ থেকে বল পেয়ে একজনকে কাটিয়ে কোকেলিনকে দারুণ এক ক্রস দেন কেপু। দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুল হয়নি এ ফরাসি মিডফিল্ডারের।
৬২তম মিনিটে ম্যাচে ফিরে আসে লিভারপুল। মোহামেদ সালাহর পাস ধরে দারুণ এক শটে গোলরক্ষককে নাগমেট করে লক্ষ্যভেদ করেন ফেবিনহো। চার মিনিট পর সমতায় ফেরে দলটি। ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে বল জালে পাঠান কলম্বিয়ার ফরোয়ার্ড দিয়াস।
৭৪তম মিনিটে গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলির ভুলে এগিয়ে যায় ইংলিশ দলটি। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে মানেকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ব্যর্থ হলে ফাঁকা জালে লক্ষ্যভেদ করেন সেনেগালের এ ফরোয়ার্ড। শেষ দিকে লিভারপুলের কার্টিস জোন্সকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বহিষ্কার হন কেপু। আর শেষ হয় ভিয়ারিয়ালের স্বপ্নযাত্রা।
Comments